রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানি বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ

পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও নীতিসহায়তা বাড়াতে হবে

কভিড-১৯ বিক্ষিপ্তভাবে রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যেখানে ধারণা করা হচ্ছে ৩০ থেকে ২০ শতাংশ রপ্তানি কমে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আগের যে অর্ডারগুলো বাতিল হয়েছে সেগুলো তারা নেবেন, তবে গার্মেন্টশিল্পের অর্ডার কিছু কমতে পারে। এ ধরনের সংকটজনক পরিস্থিতিতে আমাদের কটনবেইস তৈরি পোশাক থেকে বৈচিত্র্যপূর্ণ উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরিতে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে সরকারের যে নীতিসহায়তা, নগদ প্রণোদনা, বাজেটারি সহায়তা রয়েছে এগুলো সারা জীবন চলতে পারে না। গার্মেন্টশিল্প যে সহায়তা পায়, এখন বরং সেসব সুবিধা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে দেওয়া উচিত। কারণ একটা সময় গার্মেন্টশিল্প ছিল শতভাগ আমদানিনির্ভর। এখন কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ। তৈরি পোশাক খাতে যে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসি সুবিধা আছে তাও কেবল রপ্তানি খাতে নয়, সামগ্রিক দেশীয় শিল্পে তা কার্যকর হওয়া উচিত। কভিড-১৯-এর আগে থেকেই কিন্তু নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল আমাদের রপ্তানি আয়ে। কোনো একটি নির্দিষ্ট খাত বা পণ্যের কথা না ভেবে নীতিসহায়তার ক্ষেত্রে আমাদের অভ্যন্তরীণ পুরো শিল্প নিয়েই ভাবতে হবে। এ অবস্থায় পণ্য বৈচিত্র্যকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য যেসব সম্ভাবনাময় পণ্য আছে যেমন চামড়া, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইসিটিসহ আরও নতুন নতুন সম্ভাবনাময় পণ্য চিহ্নিত করে সেসব খাতে সরকারের নীতিসহায়তা বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক মার্কেট ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমেরিকা-ইউরোপের স্টোরগুলো খুলছে। কোনো কোনো জায়গায় লাইন ধরে ক্রেতারা পণ্য কিনছে। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপৎকালে কারখানাগুলো খুলে রাখা, যাতে শ্রমিকরা বেকার না হয়। এখন ক্রেতাদের অনলাইনে বিনিয়োগ বাড়ছে। ফলে মালিকদের মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার, যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারেও অনলাইনভিত্তিক ছোট ছোট ডেলিভারিতে পণ্য সরবরাহ করা যায়। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি একই সঙ্গে উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানিতেও গুরুত্ব দিতে হবে। কর্তৃপক্ষকে জনগণের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর