সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ওষুধের ভোক্তা অন্ধকারে

জনসচেতনতা বাড়াতে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ

তিন দিন আগে দেশে সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যার মধ্যে মৃত্যুর তথ্য যেমন আছে, তেমন আছে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার তথ্যও। সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বেড়ে চলেছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর যেমন সফলতা দেখাতে পারেনি, তেমন কভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় নানা সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। সাধারণ রোগের চিকিৎসায়ও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। কভিড-১৯ ছাড়া অন্যান্য রোগের ওষুধ নিয়েও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধ বিপণন কার্যক্রমের নামে বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পেছনে ব্যয় করে। তবে ওষুধের গুণগতমান ও কার্যকারিতা নিয়ে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে জনসচেতনতায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর কোনো প্রচার নেই। দেশে ওষুধশিল্পের বিজ্ঞাপন প্রচারে সরকারি ঔষধ প্রশাসনের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে কোনো কোম্পানি তার নতুন ওষুধ কিংবা চিকিৎসাপণ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণকে জানাতে পারে না। সে কারণে ওষুধের ক্রেতারা সচেতনতার অভাবে ওষুধ সম্পর্কে অন্ধকারে থাকছেন। কোম্পানি প্রভাবিত ডাক্তারদের ওপরই তাদের শতভাগ নির্ভর করতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রসিদ্ধি পাওয়া বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতায় ভূমিকা রাখার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) জানিয়েছে, দেশে ওষুধের বিপণন বাবদ মোট টার্নওভারের ২৯ শতাংশের বেশি খরচ করছে কোম্পানিগুলো। দেশে ওষুধের বাজারের আকার এরই মধ্যে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তাদের বিপণন বাবদ যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তা অস্বচ্ছ এবং অগ্রহণযোগ্য। অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের কোম্পানির ওষুধও বিপণন কৌশলে বাজার পেয়ে যাচ্ছে। ওষুধের গুণগতমান, মূল্য, কার্যকারিতা জানার অধিকার ভোক্তাদের রয়েছে। সুতরাং কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভাববেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন- এ আমাদের আশা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর