সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজার সংকট

মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ করা উচিত

করোনা পরিস্থিতিতে শেয়ার বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই আশা করেছিল বাজেটে সরকার কিছু পদক্ষেপ নেবে। সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বর্তমান সংকটে সরকার সব ধরনের ঋণে সুদ মওকুফ করেছে। শেয়ারবাজারে যারা মার্জিন ঋণ নিয়েছে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঋণে অন্তত ছয় মাস সুদ মওকুফ করা উচিত ছিল। আগে ১ লাখ টাকায় আয়কর মুক্ত ছিল তা এখন ৫০ হাজার টাকা। বহুজাতিক কোম্পানি নেস্লে, ইউনিলিভার, মেটলাইভ, ইন্সেপ্টা, এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের কর কমানো হয়েছে। তাতে সরকারের আয় কমে যাবে। সরকারের উচিত কর কমানো তবে শেয়ারবাজারে আসতে বাধ্য থাকতে হবে। বড় কোম্পানি এখন বাজারে আনতেই হবে। রপ্তানি খাতে ভয়াবহ নিম্নমুখী পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন খাত এখন প্রায় বন্ধ। ফলে কোনো কোম্পানি ভালো মুনাফা করতে পারবে এমন আশা করা যায় না। ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি এখন মন্দা যাচ্ছে। সরকার শেয়ারবাজারে প্রণোদনামূলক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বড় মূলধনী কোম্পানি লিস্টেড করা যায়নি। বর্তমান যে আস্থার সংকট তা কাটিয়ে উঠতে হলে লিস্টেড কোম্পানিকে সুবিধা দিতে হবে। বাজেটে আনলিস্টেড কোম্পানি কর সুবিধা পাওয়ায় শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাজার শক্তিশালী হতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ না থাকলে কারও আস্থা আসবে না। অপ্রদর্শিত অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। তিন বছর লকইন শর্তে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। ১০ ভাগ কর দিয়ে এ খাতে লকইন করে কেউ বিনিয়োগ করবে না। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ৫ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হোক। মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ করলে শেয়ারবাজারে গতি আসবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর