বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্সে সুবাতাস

নতুন শ্রমবাজারও খুঁজতে হবে

করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা আসায় বৈশ্বিক রেমিট্যান্সও কমবে এমন পূর্বাভাস ছিল। মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সংকটে রয়েছেন। এর পরও দেশে থাকা স্বজনদের কথা ভেবে তারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বৈধ পথ বেছে নেওয়ায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রদানকারী প্রবাসীদের নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা, হুন্ডি নিরুসাহিতকরণসহ নানামুখী পদক্ষেপের কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ১৭ জুন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, হুন্ডি চক্রকে ভাঙতে পারলে এ প্রবাহ আরও বাড়বে। হুন্ডি চক্রের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে হুন্ডির ফাঁদে পড়ে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। ওই ঘোষণার পরপরই বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর শুরুতে রেমিট্যান্সে ধস নামলেও গত ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে অন্তত ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছর ১৭ জুন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৬ দশমিক ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। করোনা সংকটকালেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে এটা নিঃসন্দেহে সুখকর বিষয়। তবে যেসব প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন, করোনা-পরবর্তী তাদের কর্মস্থলে ফেরত পাঠাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বৈদেশিক শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার ও নতুন বাজার অনুসন্ধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর