বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

শিক্ষার ক্ষয়ক্ষতি

অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এড়াতে হবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ থেকে বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা খুলবে, শিক্ষার্থীদের কলতানে ভরে উঠবে শিক্ষাঙ্গন সে বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। এ অনিশ্চয়তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে অভিভাবক মহলে। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছে অস্বস্তি। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে বন্ধের পালা আরও কয়েক মাস চলতে পারে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে করোনাভাইরাস যে ক্ষয়ক্ষতির কারণ ঘটিয়েছে কীভাবে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে সে বিষয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা ইতোমধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ছুটি কমিয়ে এনে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু এখন বাসায় অবস্থান করছে, সেহেতু অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে তারা যেন পড়াশোনার মধ্যে থাকে। কেউ যাতে বিপথগামিতার দিকে পা না বাড়ায় সেদিকেও রাখতে হবে তীক্ষ দৃষ্টি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ও সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। করোনার প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম জিইয়ে রাখার সম্ভাব্যতার বিষয়ে ভাবতে হবে। ইতিমধ্যে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা যায় তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতিকে নিয়তির লিখন হিসেবে মেনে নিয়ে কারিকুলাম অসম্পূর্ণ রেখে কোনোভাবেই পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ দেখানোর অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে একাডেমিক সেশনের মেয়াদ বাড়াতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষাবিদদের বক্তব্য যে কারণে খুবই প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বের দাবিদার। অনলাইন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে এ দুঃসময়ে শিক্ষা কার্যক্রম জিইয়ে রাখার চেষ্টা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য হলেও স্বীকার করতেই হবে, শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিকল্প নেই। বাহবা পাওয়ার জন্য অটো প্রমোশনের অপরিণামদর্শিতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে কারণে এখন থেকেই এ বিষয়ে ভাবতে হবে এবং নিতে হবে সঠিক ও যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর