বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা চিকিৎসা

চাই কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৮২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে দুই ধাপ এগিয়ে ২৮তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবিলার জন্য ৬টি কাজের নির্দেশনা দিয়েছে- ক. সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ খ. জনবলসহ সেবাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা গ. জনপরিসরে জনসমাবেশ কমানো ঘ. কর্মস্থলে প্রতিরোধব্যবস্থা নেওয়া ঙ. বিদেশে আসা-যাওয়া করে এমন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চ. জনগণকে সম্পৃক্ত করা। কিন্তু ৬টি কাজই ঠিকমতো হচ্ছে না। কিট সংকটে ঢিমেতালে চলছে করোনাভাইরাস টেস্ট। ল্যাবে পড়ে আছে নমুনার স্তূপ, বাড়ছে উপসর্গ নিয়ে অপেক্ষমাণ মানুষের সারি। এ দীর্ঘসূত্রতায় রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটছে, বাড়ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে পর্যাপ্ত টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। কিটের সংকট তৈরি যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত মজুদ না রাখলে এ মহামারী ঠেকানো মুশকিল হবে। দেশে ৬৫টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা চলছে। অনেক ল্যাবের সক্ষমতা থাকলেও কিট সংকটের কারণে তারা নমুনা পরীক্ষা করতে পারছে না। ঢাকার পর চট্টগ্রামে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও তারা কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারলেও পাচ্ছেন না জরুরি সেবা। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়মিতভাবে বেড়ে চলছে। এ পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৩২২ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতসবের পরও অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সঙ্গে মাস্ক নিয়ে ঘুরলেও তা পরছে না। করোনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে নতুবা আক্রান্ত ও মৃতের হারও বেড়ে যাবে। জনসচেতনতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর