শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

জনতার মেয়র কামরান ভাই

আসাদ উদ্দিন আহমদ

জনতার মেয়র কামরান ভাই

৫ জুন শুক্রবার। রাতে ফোন দেন কামরান ভাই। প্রায়ই সাংগঠনিক বিষয়ে রাতে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। ভাবলাম এ রকম কোনো কাজেই হয়তো ফোন দিয়েছেন। কিন্তু ফোন করেই তিনি যা শোনালেন তাতে আমার মাথায় বজ্রপাত পড়ার অবস্থা। কামরান ভাই বললেন, ‘আসাদ ভাই! আমার রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। দোয়া করবেন।’ কয়েকদিন আগে ভাবিরও করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ অবস্থায় আমি কী সান্ত্বনা দিই তাঁকে। কী বলব। আমি তো পুরোই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কয়েক সেকেন্ড পর কামরান ভাই-ই নীরবতা ভাঙলেন। বললেন, ‘চিন্তা করবেন না ভাই, আল্লাহ সহায়। আপাতত হাসপাতালে যাব না। বাসায় আইসোলেশনে থাকব। শিপলু আছে ও চিকিৎসার ব্যাপারে সব ব্যবস্থা করবে।’ ফোন রাখার আগে কামরান ভাই আমাকে সতর্ক করেন। সাবধানে থাকতে বলেন। কামরান ভাইয়ের মনোবল মোটামুটি শক্তই ছিল। চিকিৎসক ছেলে আরমান আহমদ শিপলুর প্রতি তাঁর অগাধ আস্থার বিষয়টি কথাতেই বোঝা গেল। ভাবিও বাসায় আইসোলেশনে থাকায় তিনি বাসায়ই থাকতে চাইছিলেন।

করোনার কাছে কামরান ভাই হার মানবেন, তা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। এত হাসিখুশি, সজ্জন, কর্মীবান্ধব, জনবান্ধব মানুষকে কীভাবে করোনা নামক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ভাইরাস কেড়ে নিতে পারে তা শুধু আমার নয়, সিলেটের কোনো মানুষই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আর বাসায় থাকা হয়নি কামরান ভাইয়ের। চিকিৎসকের পরামর্শমতে ভর্তি হন শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় তাঁকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হলো ঢাকা সিএমএইচে। কামরান ভাই যে সিলেট থেকে শেষ বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন তা কি সেদিন টের পেয়েছিলেন সিলেটবাসী? অবশ্যই না। যদি ন্যূনতম টের পেতেন তবে আমার বিশ্বাস, এ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করতেন তাঁদের প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে।

সিলেটবাসী টের না পেলেও কামরান ভাই হয়তো বুঝে নিয়েছিলেন তিনি আর ফিরবেন না। তাই তো হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় আল্লাহর দরবারে দুই হাত তোলেন। সিলেটবাসীর কাছে দোয়া চান। হুইল চেয়ারে অক্সিজেনসহ কামরান ভাইকে যখন অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিচ্ছিলাম, তখনো একবারের জন্য মনে হয়নি এটাই কামরান ভাইয়ের সঙ্গে শেষ দেখা। শেষ বিদায়। কামরান ভাই ক্ষীণ কণ্ঠে বললেন, ‘আসাদ ভাই! দীর্ঘ চলার পথে হয়তো অনেক ভুলত্রুটি হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ তাঁর হয়ে সিলেটবাসীর কাছে দোয়া চাইতে বলেন। আমি সাহস দিই। দ্রুত সুস্থ হওয়ার আশ্বাস দিয়ে সান্ত্বনা দিই। নিজের ভুলত্রুটির জন্য তাঁর কাছে পাল্টা ক্ষমাও চাই। কে জানত এটাই দুই ভাইয়ের শেষ কথা, শেষ দেখা।

সিএমএইচে ভর্তির পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রতিদিন একাধিকবার কথা হতো তাঁর ছেলে ডা. শিপলু ও ছোট ভাই এনামের সঙ্গে। কামরান ভাইকে প্লাজমা দেওয়ার জন্য অনেকে যোগাযোগ করেন। আমি তাঁদের শিপলু ও এনাম ভাইয়ের ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলি। প্লাজমা দেওয়ার পর যখন খবর পেলাম অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তখন মনে অনেক প্রশান্তি পেলাম। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা বান্দার পক্ষে বোঝা বড়ই কঠিন।

১৪ জুন দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে কামরান ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি নির্বাক। যেন জড়পদার্থ হয়ে গেছি। হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কামরান ভাই আমাদের মাঝে নেই, তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল এ খবর যেন হয় ঘুমভাঙা স্বপ্ন। কামরান ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে চোখের পানি গড়ায়। শ্রাবণের বারিধারা নামে সিলেট নগরে। সে বারিধারা আকাশ থেকে বর্ষিত নয়, কামরানপ্রেমী জনতার চোখের জলধারা। কামরান ভাইয়ের মৃত্যুতে মনে হচ্ছিল শুধু এ নগরের মানুষ নয়, প্রতিটি ইটপাথরের দালান, পশু-পাখি, বৃক্ষরাজিও কাঁদছে। কামরান ভাই কি জানতেন এ নগরের মানুষ তাঁকে এত ভালোবাসতেন। এতটা প্রাণের মাঝে রেখেছিলেন তাঁকে। মৃত্যুর পর মনে হচ্ছিল এ নগরের প্রতিটি ঘরই কামরান ভাইয়ের একেকটি পরিবার। কামরান ভাই যেন প্রতিটি পরিবারের সদস্য।  কামরান ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে লিখতে গিয়ে বারবার চোখ আবছা হয়ে আসে। দীর্ঘদিনের পথচলায় সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কামরান ভাই এবং আমাকে একসঙ্গে বসে অনেক কিছু লিখতে হয়েছে। অনেক সাংগঠনিক প্রতিবেদন, দলের খবর, প্রেস রিলিজ, পোস্টার ইত্যাদি দুজন মিলে লিখেছি। দীর্ঘ আট বছর সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে একই কাগজে পাশাপাশি স্বাক্ষর করেছি। কত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি একান্তে বসে। কত হাসি-ঠাট্টা, মান-অভিমান। সে স্মৃতি কি কাগজে-কলমে ফুটিয়ে তোলা যায়?

করোনাকালীন ঝুঁকি জেনেও কামরান ভাই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ত্রাণ বিতরণ করেছেন। সর্বশেষ ১৫ মে নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন মিলে যাই আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণে। পাশাপাশি বসা ছিলাম। কামরান ভাই বললেন, ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আপনার কাজ দেখছি। সবসময় সাবধানে থেকে, নিরাপদে থেকে কাজ করবেন।’ কামরান ভাইয়ের অভিভাবকসুলভ এ উপদেশ আমাকে আরও সাহস জোগায়, অনুপ্রাণিত করে। তাঁর সঙ্গে শেষ রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল ১৮ মার্চ। মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ওইদিন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের বহিরাঙ্গনের নির্ধারিত মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলাম। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কত কথা। অনুষ্ঠান শেষ হয় কথা ফুরায় না আমার আর কামরান ভাইয়ের। এর আগে ১১ মে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন শামীম ভাইয়ের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে কামরান ভাই এবং আমাকে নিয়ে একটি অনলাইন মিডিয়া লাইভ শো আয়োজন করে। সেখানে আমরা শামীম ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করি। কিন্তু তখনো কি ভেবেছিলাম কিছুদিন পরই কামরান ভাইকে নিয়ে এ রকম স্মৃতিচারণা করতে হবে!

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কামরান ভাইকে সভাপতি এবং আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি দেন। সেই থেকে প্রতিটি সময় কামরান ভাই এবং আমি কীভাবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করেছি। সময়ের প্রয়োজনে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাদের দুজনকেই নিতে হয়েছে। দলের অনেক কঠিন সময় আমরা একসঙ্গে পার করেছি। কখনো কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলেও আমরা একজন আরেকজনকে সবসময় ছাড় দিতাম। যদিও আমি বয়সে তাঁর ছোট ছিলাম কিন্তু বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমাকে ‘আসাদ ভাই’ বলেই সম্বোধন করতেন। মহানগর আওয়ামী লীগ যে কোনো সমস্যায় পড়লেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি সমাধান বলে দিতেন। বেশি জটিল সমস্যা হলে বলতেন, ‘আমরা বসে ব্যাপারটা দেখছি।’ সমাধানও হয়ে যেত। তাঁর সঙ্গে একই কমিটিতে কাজ করতে করতে অনেক কিছুই শেখা হয়েছে। কীভাবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করা যায় তা কামরান ভাই আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন।

সাংগঠনিক কার্যক্রমে কামরান ভাইয়ের সবসময় গণতান্ত্রিক মানসিকতা ছিল। কোনো সময়ই তিনি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতেন না। দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনা করতেন, সবার মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থির করতেন। এটা অনেক নেতার স্বভাবে থাকে না। এ গুণ কামরান ভাইয়ের ছিল। কামরান ভাই সবাইকে কাছে টানতেন। কামরান ভাইয়ের বুকের চেয়ে হৃদয় বড় ছিল। সেখানে তিনি সবাইকে ঠাঁই দিতে চাইতেন। কাউকে দূরে ঠেলতেন না। সেজন্যই তিনি সিলেটের গণমানুষের নেতা হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। দলের দুঃসময়ে কামরান ভাই আরও সাহসী হয়ে উঠতেন। দৃঢ় মনোবল নিয়ে কর্মীদের উৎসাহ দিতেন। তাঁকে দেখে পেছনের কর্মীরা সাহস পেতেন। দলের কঠিন সময়ে কামরান ভাইয়ের দক্ষ নেতৃত্বের কথা লিখে শেষ করার মতো নয়। সিলেট আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কামরান ভাই এবং আমি একসঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা, প্রতিনিধি সভা, সম্মেলন, মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ইত্যাদি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছি। সিলেটে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে কামরান ভাই জড়িত ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কামরান ভাইয়ের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারাকে আমি বিশেষ সৌভাগ্য মনে করি। একসঙ্গে সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কখনো তিনি নেতার আবার কখনো বড় ভাইয়ের মতো অভিভাবকসুলভ আচরণ করেছেন। শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, কাছে টানতে হয়। এ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের জন্য অনেকেই বোধহয় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে ‘কামরান-আসাদ’ জুটি হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। তবে যে যেভাবেই দেখুন না কেন, আমি কিন্তু কামরান ভাইকে দেখতাম আমার এক রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে। কামরান ভাই সিলেটে আমাদের জন্য ছিলেন বটবৃক্ষ। এর ছায়াতলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আপদে-বিপদে বিরোধী মতাদর্শের অনেকেও আশ্রয় নিতেন। কামরান ভাই মানুষকে শুধু দলীয় পরিচয়ে বিবেচনা করতেন না, তাঁর মাঝে ছিল অসীম মানবিক গুণ। সে গুণই তাঁকে সব দল ও মতের মানুষের কাছে শ্রদ্ধেয় করেছে।

রাজনীতি করার সুবাদে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে যতটা না চিনতে পেরেছিলাম এর থেকেও বেশি ব্যক্তি কামরানকে আমি জানতাম। গান, কবিতা ভালোবাসেন এমন সদা হাস্যোজ্জ্বল এক মানুষ ছিলেন তিনি। দলের অনেক জনসভায়ও গান ধরেছিলেন তিনি। কোনো জনসভায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে কামরান ভাই হয়তো গান ধরতেন, না হয় স্লোগান। তাঁর দরাজ কণ্ঠ শুনেই নিমিষে মিলিয়ে যেত হট্টগোল। এটা কেবল কামরান ভাইয়ের পক্ষেই সম্ভব ছিল। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে দিনরাত নগরের অলিগলি চষে বেড়ানোই ছিল তাঁর কাজ। এজন্য ভোটের হিসাবে পরাজিত হলেও নগরবাসীর কাছে তাঁর পরিচয় ছিল ‘মেয়র সাব’। নগর ভবন হারালেও নাগরিক ভালোবাসা হারাননি তিনি। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাবস্থায় প্রতিদিন তাঁর অফিসের সামনে অসহায় গরিব মানুষের লাইন থাকত। কামরান ভাই কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। সাধ্যমতো সহায়তা করতেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও এ লাইন ছিল তাঁর বাসায়। তার ছড়ার পাড়ের বাসায় গেট লাগাননি। সবার জন্য সবসময় বাসার গেট উন্মুক্ত ছিল; যাতে নগরবাসী চাইলেই তাঁর বাসায় ঢুকতে পারেন। প্রায় সময়ই দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমরা সেখানে বসেই নিতাম। সময়ের এ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে ‘কামরান ভাইহীন শূন্য বাসা’ হয়ে যাবে তা কখনো ভাবিনি।

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কামরান ভাইয়ের লাশের কফিনে ফুল রাখতে গিয়ে আরেকবার ধাক্কা খেলাম। বুক ফেটে গেল মানুষের কান্না দেখে। তখন আমার মনে হয়েছে হাজারো মানুষের এ অশ্রুভেজা উপস্থিতি দেখে হয়তো কামরান ভাই তাঁর চিরচেনা হাসি হাসছেন। এমন মানুষের চিরবিদায় কি বললেই দেওয়া যায়...? কামরান ভাইয়ের প্রাণহীন দেহ হয়তো আমরা দাফন করেছি কিন্তু তাঁর স্মৃতি কি কখনো মুছে যাবে সিলেটবাসীর হৃদয় থেকে? শুধু সিলেটবাসীই কেন? কামরান ভাই এমন এক নেতা ছিলেন যিনি স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেও দেশবাসীর কাছে জাতীয় নেতার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

ইসলামমতে মহামারীতে যাদের মৃত্যু হয় তারা শহীদের মর্যাদা পান। আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন কামরান ভাইকে তিনি জান্নাত দান করেন। তাঁকে শহীদের মর্যাদা দেন। আর সেইসঙ্গে সিলেটবাসীসহ তাঁর পরিবারকে এ আকস্মিক শোক সইবার শক্তি দেন।

লেখক : সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর