শিরোনাম
শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি টাকা

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) কোনো কোনো বাংলাদেশি জমিয়েছেন অর্থের পাহাড়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে বাংলাদেশিদের। দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও পাচার কমছে না। নানাভাবে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ পাচারের অর্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে তুলছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি, রিসোর্ট। আবার কেউ কেউ জমা রাখছেন সুইস ব্যাংকে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি এখনো গচ্ছিত রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। এর পরই রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি শেয়ারবাজার, জমি, ফ্ল্যাটসহ আবাসন খাতে অবাধে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে কালো টাকা। এর পরও দেশ থেকে অর্থ পাচার কাক্সিক্ষত হারে কমছে না। প্রায় ২০০ বছর ধরে এ ধরনের ব্যাংকিং সেবার কেন্দ্র ইউরোপের দেশটি। গ্রাহকের তথ্যের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে সুইস ব্যাংকগুলো। অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে। সূত্র বলছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। অর্থ পাচার রোধে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়, এর বেশির ভাগই কার্যকর নয়। ফলে পাচার ঠেকানো দূরের কথা, কমানোও যায় না। এর জন্য সুশাসন, স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর