রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পণ্য আমদানি-রপ্তানি

বজায় রাখতে হবে পণ্যের গুণগতমান

চট্টগ্রাম, মোংলা সমুদ্রবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। করোনা সংক্রমণভীতি কাটিয়ে কর্মমুখর হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দর। সংক্রমণ শুরুর পর দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা এসেছিল গত এপ্রিলে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এপ্রিলে রপ্তানির পরিমাণ কমেছিল আগের তুলনায় প্রায় ৮৭ শতাংশ। অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানির ৮২ শতাংশ আসে; আর রপ্তানি পণ্যের ৯১ শতাংশই যায় এ বন্দর দিয়ে। সম্প্রতি রপ্তানি বাড়ায় আশান্বিত হয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা। গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫৪ হাজার টন পণ্য। গত মার্চের পর থেকে ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যের আদেশ বাতিল হয়। এমনকি যেসব পণ্য জাহাজিকরণের জন্য বন্দরে ছিল তারও ক্রয়াদেশও ক্রেতারা বাতিল করেন। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়লেও নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যে ভর করে লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখছে মোংলা বন্দর। করোনা সংকটেও এ বন্দর দিয়ে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সিংহভাগ পণ্য আদান-প্রদান হয়। বেনাপোলে গতি ফিরেছে আমদানি বাণিজ্যে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের গন্তব্য হচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো। করোনা সংক্রমণ এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বেশিই ঘটেছে। তবে সম্প্রতি ইউরোপের কিছু দেশে করোনা প্রকোপ স্থিতিশীল কিংবা কমতির দিকে। এসব অঞ্চলের কিছু দেশ লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ফলে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়বে। এরই মধ্যে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্ট কারখানায় সীমিত পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব কমে আসায় দেশে দেশে স্বাভাবিক কর্মকা- শুরুর ঘোষণা আসছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাড়ার ইঙ্গিত মিলছে। এখন প্রয়োজন পণ্যের গুণগতমান বজায় রাখা ও সুব্যবস্থাপনা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর