সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

মানহীন ঠিকাদারি কাজ

কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

কালো টাকা তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা। অনেক ঠিকাদার আয়কর বিবরণীতে প্রকৃত আয় দেখান না। রডের বদলে বাঁশ কিংবা কঞ্চি দিয়ে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎও করছে তারা। ঘুষের বিনিময়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। স্বয়ং ঠিকাদার নেতাদের দাবি, ঘুষ ছাড়া কাজ মেলে না। সাধারণ ঠিকাদারদের ভাষ্য, প্রতিটি ঠিকাদারি কাজে কমবেশি ৫ শতাংশ কালো টাকা তৈরি হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এলজিআরডি, সড়ক ও রেলের ঠিকাদারদের নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ক্রয়-প্রক্রিয়া বা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম হওয়ায় ঠিকাদারদের হাতে কালো টাকা তৈরি হচ্ছে। তাদের অবৈধ লেনদেনের কারণে কাজের মানও থাকছে না। ঠিকাদারদের আয়কর ফাইল খতিয়ে দেখছে দুদক। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট সিপিটিইউর ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ইজিপি পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী ২৭টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে মোট ৭৩ হাজার ৬২৫টি নিবন্ধিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি একক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই মূলত সরকারের ৪৭টি মন্ত্রণালয়, ২৭টি বিভাগ ও ১ হাজার ৩৪০টি সংস্থার উন্নয়ন, সরবরাহ ও সেবা প্রদানের কাজ করছে। ওই সংস্থাগুলোর আওতায় সারা দেশে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদাররা নিবন্ধন করেছে। ওই পোর্টালের তথ্য বলছে, ইজিপি সিস্টেমটি সরকারের ক্রয়কারী সংস্থা (পিএ) ও ক্রয়কারী (পিই)-সমূহের ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য একটি অনলাইন প্লাটফরম। এটি একমাত্র ওয়েব পোর্টাল যেখান থেকে এবং যার মাধ্যমে সরকারি ক্রয়কাজ সম্পন্ন হয়। এ পদ্ধতি ক্রমান্বয়ে সরকারের সব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হলে দরদাতাদের অবাধ অংশগ্রহণ থাকবে। সরকার ঠিকাদারদের ১০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার পরও তারা নিম্নমানের কাজ করে অবৈধ অর্থের মালিক হচ্ছেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনের লাগাম টানতে কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর