সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বেপরোয়া গরু চোরাচালান

গো-খামারিদের সর্বনাশ রোধ করুন

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া চোরাচালানে মেতে উঠেছে গরু পাচারকারীরা। ভারত থেকে নানা কৌশলে আসছে গরু। করোনার প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছর কোরবানির সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে কোরবানির বাজারে বেচার জন্য দেশের খামারিরা যে গরু পালন করছে তার একাংশ এমনিতেই অবিক্রীত থেকে যাবে। ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আমদানি হলে সংকটে পড়বে খামারিরা। করোনার কারণে এ বছর খামারিরা গরুর দুধের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানীতে গত চার মাসে প্রতি লিটার দুধ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর বাইরে বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়। ফলে গরুর খাবার কিনতে গিয়ে খামারিরা ধারদেনার শিকার হয়েছেন। চলতি বছর করোনার কারণে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকের পক্ষে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোরবানি দেওয়া হবে না। সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘিত হওয়ার ভয়েও অনেকে গরুর হাটে যাওয়া এবং কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক ভাবনায় ভুগছেন। এ অবস্থায় দেশের গো-খামারিদের রক্ষায় ভারত থেকে গরু চোরাচালান বন্ধে জরুরিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ইতিমধ্যে গরু চোরাচালানের যেসব খবর সীমান্ত এলাকা থেকে আসছে তা মোটেও সুখকর নয়। দুই দেশের চোরাচালানিরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মেতে উঠেছে চোরাচালানে। অ™ভুত সব কৌশলে চলছে গরু পাচারের ঘটনা। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে উড়ন্তভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাঠানো হচ্ছে। কাঁটাতারের বেড়ায় পড়ে প্রায় সময়ই ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে অবোধ পশু। সীমান্তে গরু পাচারের সঙ্গে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোনো কোনো অসৎ সদস্যের যোগসাজশ একটি ওপেন সিক্রেট। সমঝোতা ছাড়া কেউ পাচারের সঙ্গে যুক্ত হলে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। দুই দেশের শান্তির সীমান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে চোরাচালানিদের কারণে। আমরা আশা করব দেশের গো-খামারিদের রক্ষায় ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আমদানি রোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে। করোনাকালের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে খামারিরা যাতে তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর