মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বন্যায় পানিবন্দী মানুষ

স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এগুলো হলো- লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লা। এসব এলাকায় হাজার হাজার বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দী লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য ও পয়ঃনিষ্কাশনের। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাড়ছে নদীভাঙন। কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন বীজতলা, আউশ, শাক-সবজি, তিল, পাট, ভুট্টা ও চীনাবাদাম খেত তলিয়ে গেছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার কৃষক চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে। চর ও দ্বীপচরের মানুষের কষ্ট আরও চরমের দিকে যাচ্ছে। কুমিল্লা, গাইবান্ধা, সিলেট, জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে নদী-খাল দখল হয়ে যাওয়ায় নিষ্কাশনের অভাবে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। টানা বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘরবন্দী। একদিকে করোনায় কর্মহীন অন্যদিকে বন্যায় পানিবন্দী মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছে। এ মুহূর্তে বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। করোনার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় মানুষের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম গঠন, ওষুধসামগ্রী, শুকনো খাবার,

পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।

বাড়তি যত্ন নিতে হবে বয়স্ক, নারী ও শিশুদের।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর