শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কোয়ারেন্টাইনে থাকা নার্স

নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করুন

দেশে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে ১ হাজার ৯২৬ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৪২ জন। করোনা আক্রান্তদের সেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছেন নার্স ও চিকিৎসক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালনও করছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও চিকিৎসকদের আবাসনের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি হোটেল ভাড়া করেছেন। তাদের খাওয়া বাবদ জনপ্রতি প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচা, তোপখানা, ফকিরাপুলসহ আশপাশ এলাকার অনেক হোটেলে চলছে নার্সদের কোয়ারেন্টাইন। প্রতিটি গ্রুপ সাত দিন ডিউটি করে ১৪ দিন এসব হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে যায়। তারপর পরিবারের সঙ্গে এক সপ্তাহ কাটিয়ে আবার ডিউটিতে ফেরে। ২০ জুন হোটেল রহমানিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন একটি গ্রুপের কোয়ারেন্টাইন। হোটেলটিতে টস করে কিছু নার্সকে সিঙ্গেল কোয়ারেন্টাইন রুম দেওয়া হয়। অন্যদের রুম ভাগাভাগির ভিত্তিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ তখনো হোটেলে অনেক কক্ষ খালি ছিল। নার্সদের অভিযোগ, কোয়ারেন্টাইনের জন্য ভাড়া করা হোটেলগুলোয় গোপনে বহিরাগত পুরুষ বোর্ডার তুলছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হোটেলে অবস্থানকারী নার্সরা। এমনকি আলো-বাতাসপূর্ণ ভালো কক্ষগুলো বহিরাগতদের জন্য রেখে তুলনামূলক খারাপ কক্ষগুলো নার্সদের দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাদের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অথচ নার্সদের থাকা, পুষ্টিকর খাবার, নিরাপত্তা, যাতায়াত নিশ্চিত করার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কোয়ারেন্টাইনে থাকা নার্সদের হোটেলে বহিরাগত পুরুষ বোর্ডার তোলায় করোনাবিরোধী লড়াইয়ের ফ্রন্ট ফাইটারদের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে এদিকে

নজর দেবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

সর্বশেষ খবর