সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ভারতে পণ্য রপ্তানি

জটিলতার প্রবণতা দুর্ভাগ্যজনক

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায় করোনাভাইরাসের অপপ্রভাবে। দুই বন্ধু দেশ এ অচলাবস্থার নিরসন ঘটিয়ে ৮০ দিন পর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য পুনরাম্ভের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি শুরু হয় জোরেশোরে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য ভারতে পাঠানো হলে তার প্রবেশ আটকিয়ে দেওয়া হয় সীমান্তে। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে প্রবেশে বাধাদান শুধু দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির লঙ্ঘনই নয় বন্ধুত্বের জন্যও বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। স্মর্তব্য, মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনার কারণে স্থলপথে দুই দেশের বাণিজ্য স্থগিত রাখা হয়। ৮০ দিন বন্ধ থাকার পর ভারতের উদ্যোগে বাণিজ্য পুনরাম্ভের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। এসব বৈঠক এবং দুই পক্ষের একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক ও ফোনালাপে বাণিজ্য স্বাভাবিক করার ওপর জোর দেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশও তাতে সম্মতি জানায়। দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৭ জুন থেকে ভারতীয় পণ্য আসা শুরু করে বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি বাংলাদেশি পণ্যবাহী যানবাহন ভারতে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায়। এর ফলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ পণ্য ট্রাকে নষ্ট হচ্ছে স্থলবন্দরগুলোতে। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর পর তারা ইতিমধ্যে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে চিঠি দিয়েছেন। স্থলবন্দরগুলোতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একপেশে বাণিজ্যিক আচরণে বাংলাদেশ যে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের অন্যতম আমদানিকারক দেশ। দুই দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য ভারতের দিকে ঝুলছে। ভারতে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বাধা সৃষ্টি করলে দুই দেশের বাণিজ্য শুধু নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বিভেদকামী শক্তিকে তা লাভবান করবে, যা কাম্য হওয়া উচিত নয়। আমরা আশা করব জটিলতা নিরসনে নয়াদিল্লি দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। বন্ধুত্বের স্বার্থে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের জটিলতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর