বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি

শীর্ষ পর্যায়ের নজরদারি কাম্য

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চেয়েছে মালয়েশিয়া। দুনিয়াজুড়ে শ্রমবাজারে যখন অস্থিরতার কালো ছায়ার বিস্তার ঘটছে তখন বন্ধু দেশটির সরকারের আশ্বাস আশাজাগানিয়া খবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া ও শর্তসমূহ চূড়ান্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে খসড়া প্রটোকল চূড়ান্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সুবিধার্থে বাংলাদেশে অনলাইন অটোমেটেড সিস্টেম চালুর তাগিদ দিয়েছেন। চিঠিতে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের একই খাতের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার সুখবরও জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। সাংস্কৃতিক দিক থেকে মিল থাকায় বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় অপেক্ষাকৃত বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজারটি বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত করা হলে তা আশীর্বাদ বলে বিবেচিত হবে। মালয়েশীয় মন্ত্রীর চিঠিতে অভিবাসন ব্যয় ও রিক্রুটিং এজেন্সি সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যেসব রিক্রুটিং এজেন্সির ট্র্যাক রেকর্ড ভালো, ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা, দক্ষতা এবং শ্রমিক নিয়োগ ও পাঠানোর সক্ষমতা আছে তাদেরই বিবেচনা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন অটোমেটেড ইনটিগ্রেটেড সিস্টেম সম্পর্কে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় সরকারি সংস্থা, নিয়োগকর্তা, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে শুরু করে সব স্টেকহোল্ডারই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে। বাংলাদেশেও এমন একটি কমপ্রিহেনসিভ অনলাইন সিস্টেম থাকলে দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। মালয়েশিয়া করোনাভাইরাসের কারণে স্তব্ধ হয়ে পড়া অর্থনীতি দ্রুত সচল করতে চায়। ইতোমধ্যে সে দেশের মন্ত্রিসভা বিদেশি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মজীবীদের একই খাতে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্মোচনে দ্রুত খসড়া প্রটোকল চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ কাজে সত্যিকারের যোগ্য এজেন্সিগুলোকে নিয়োগ করা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত। দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক বজায় রাখতে এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নজরদারিও কাম্য।

সর্বশেষ খবর