শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই

প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার প্রশংসার যোগ্য

বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সাফ সাফ বলে দিয়েছেন অপরাধী যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতিবাজ কে, কোন দলের তা বড় কথা নয়, সেটি বিবেচনায় আনা হবে না। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর আপসহীন লড়াইয়ের অঙ্গীকার তাৎপর্যের দাবিদার। সবারই জানা, দুর্নীতি দেশের প্রধান সমস্যা হয়ে বিরাজ করছে কয়েক যুগ ধরে। এ দেশে দুর্নীতির বীজ জোরেশোরে বপিত হয় সামরিক শাসনামলে। পাকিস্তান আমলে মিরজাফরের বংশধর ইসকান্দার মির্জা ও তার দুই শিষ্য আইয়ুব-ইয়াহিয়া এ অপকর্মের হোতা। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাদের প্রেতাত্মার ভূমিকায় অবতীর্ণ সামরিক শাসকরা নিজেদের দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ ও পরিচর্যা করেছেন। তাদের কালো হাতের প্রভাবে কলুষিত হয়েছে রাজনীতি। অর্থনীতিতে লুটেরাদের প্রভাব নিশ্চিত হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকেও কলঙ্কিত করেছেন তারা। দেশের ছাত্র ও যুব সমাজকেও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করে তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করার প্রয়াস চালিয়েছেন। গণতান্ত্রিক শাসনামলেও সে কুপ্রভাবের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করতে হচ্ছে জাতিকে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁর সমাপনী ভাষণে বলেছেন, সামরিক শাসকরা দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। স্বৈরশাসকরা বছরের পর বছর দুর্নীতির বীজ বপন করেছেন। তা আজ মহিরুহ হয়ে উঠেছে। যত কাঁটা হোক না কেন, কোথা থেকে আবার গজিয়ে ওঠে। মানুষের চরিত্রই নষ্ট করে দিয়েছেন তারা। স্বীকার করতেই হবে, দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সমূলে উচ্ছেদ করার দায়িত্ব এখন যারা ক্ষমতায় তাদের ওপর বর্তেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের প্রতি জাতির আস্থাও রয়েছে। এ আস্থাকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে এগোতে হবে। সরকারি খাতের দুর্নীতি, অসততা রোধে কঠোর হতে হবে। দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে শক্ত হাতে। দেশবাসীর কল্যাণ চাইলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত  করতে হলে দুর্নীতির উচ্ছেদ সময়েরই দাবি।

সর্বশেষ খবর