শিরোনাম
রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

আবারও বন্যার ছোবল

দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে

বন্যার ধকল এ বছর দেশবাসীর জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দেবে, এমন আলামত ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে তারা যে আরও নাজুক অবস্থার শিকার হচ্ছে তা দিবালোকের মতো সত্য। ইতোমধ্যে এক দফা বন্যার ক্ষত না শুকাতেই প্লাবিত হচ্ছে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো। একদিকে ভারি বৃষ্টিপাত, অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজানের ঢলে ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা। সিলেটের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, যদুকাটা ও গুড় নদের পানি চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ২ হাজার ৮৬৬টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা এবং জামালপুর, ফরিদপুর, সিলেটসহ ১২ জেলায় ইতোমধ্যে বন্যা ছোবল হেনেছে। সাধারণত ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনার পানি বাড়লে দেশের ২০ থেকে ২৪টি জেলায় বন্যা দেখা দেয়। এবার আরও বেশকিছু জেলায় বন্যার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বন্যার কারণে ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে সবজির দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। গরিব মানুষের জন্য যা বিড়ম্বনা হয়ে দেখা দিয়েছে। এমনিতেই করোনার কারণে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ত্রিশঙ্কু অবস্থার শিকার। সবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকও চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে বন্যাকবলিতদের ত্রাণকাজে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যা একটি সাংবৎসরিক সমস্যা। এ বছর করোনাকালে বন্যা আঘাত হেনেছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন এ সমস্যার মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর