মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা টেস্ট জালিয়াতি

অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কাম্য

করোনা টেস্ট জালিয়াতির মহানায়িকা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের আলোচিত চিকিৎসককে রবিবার তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরপরই তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি চাকরি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা এবং অর্থ আত্মসাতের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপির তেজগাঁও ডিভিশন। তারা এখন কারাগারে। পুলিশি তদন্তে ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও অন্যদের ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের সত্যতাও মিলেছে। ডা. সাবরিনা চৌধুরীর গ্রেফতারের ঘটনা টেস্ট জালিয়াতির হোতাদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে। একজন চিকিৎসক মানবতার প্রতি দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করবেন এমনটিই আশা করা হয়। ডা. সাবরিনা চৌধুরী সে দায়বোধ থেকে নিজেকে দূরে রাখাই শুধু নয়, করোনাকালে টেস্ট জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নিয়ে শত শত মানুষকে ঠকিয়েছেন। তাদের দেওয়া ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক প্রবাসী। আমরা আশা করব, ডা. সাবরিনা, তার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ করোনা টেস্ট প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীর আইনি পন্থায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। সমাজে সাধুর বেশে শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ জঘন্য অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অপরাধী চিকিৎসকের সনদ বাতিলসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসা পেশাকে কলঙ্কিত করার সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করতে অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা হবে- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর