বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যয় সংকোচন নীতি

সময়ের বিবেচনায় বাস্তবোচিত

বিদায়ী অর্থবছরে মহামারীর প্রভাবে দেশের অর্থনীতিকে বড় ধরনের ধকল সহ্য করতে হয়েছে। রাজস্ব ঘাটতি লাখ কোটি টাকার অঙ্ক ছাড়িয়েছে। এর অনিবার্য প্রভাব পড়েছে নতুন বছরেও। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসটা অতিক্রান্ত হচ্ছে করোনা ধকলের মধ্য দিয়ে। এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার সতর্ক হয়ে উঠেছে বলেই মনে হচ্ছে, যা ইতিবাচক দিক। বাস্তবতার নিরিখে কম গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। গাড়িবিলাসিতা বন্ধের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, মৌলিক প্রয়োজনের বাইরে খরচ করতে চাইছে না সরকার। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে উন্নয়ন ও পরিচালন উভয় ধরনের ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিলাসী ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ জরুরি না হলে বন্ধ রাখাসহ দেশের অভ্যন্তরেও যাতায়াত খরচ কমানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ সভা এখন অনলাইনে করা হচ্ছে। এতে ব্যয় সংকোচনের পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ ঝুঁঁকিও অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যে এমনটিই ধারণা করা হয়। এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এ বিশাল ব্যয়ের পাশাপাশি রাজস্ব আহরণে বড় ধরনের ঘাটতির কারণেই সরকার ব্যয় সংকোচনে নেমেছে। উন্নয়ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় অর্থছাড় বন্ধ করা হয়েছে। একইভাবে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থ বিভাগ এ-সংক্রান্ত পরিপত্রও জারি করেছে। করোনাভাইরাস বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তবে এর প্রভাবে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা নজিরবিহীন। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। ফলে সরকারকে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করতে হবে। বিলাসিতা ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে বাদ সাধতে হবে। প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় বন্ধে হতে হবে কঠোর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর