সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে সুদিন ফিরছে

দেশের জন্য ইতিবাচক খবর

করোনাকালের ধকল শেষে গার্মেন্ট শিল্পে সুদিন ফিরে আসছে। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এই শিল্প। গত এক দশকে বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রপ্তানি আয় খুব দ্রুত বেড়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। গড় হিসাবে এক দশক ধরে দেশের রপ্তানি আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অগ্রসরমাণ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, ওপরে আছে কেবল ভিয়েতনাম। রপ্তানিতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার অগ্রভাগে পোশাক খাত। পোশাক রপ্তানিতে একক দেশ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে পোশাক রপ্তানি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। ইউরোপ-আমেরিকার ৩ শতাধিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ৩১৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ স্থগিত করে। কঠিন সংকটে পড়া পোশাক রপ্তানি খাত আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মার্চ-এপ্রিলে বাতিল ও স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশের ৮০ শতাংশই আবার ফিরে এসেছে। বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানি আদেশ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে বকেয়া পরিশোধেও এগিয়ে আসছেন। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক খবর। সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলতে শুরু করেছে শিল্পকারখানা। বন্ধ আকাশপথ ফের খুলতে শুরু করেছে। ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয় ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রপ্তানির বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে। করোনার কারণে সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৬৮৬ কোটি ডলার বা প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর রপ্তানিতে এত বেশি ধস কখনই ঘটেনি। এদিকে চলতি অর্থবছরের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে নতুন করে কর্মকান্ড শুরু হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর