শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি

এ অব্যবস্থার অবসান কাম্য

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কেন নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায় না, দফায় দফায় সময় কেন বাড়ানো হয় তা নিয়ে এর আগেও অনেকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাতে কর্তাব্যক্তিদের সম্বিৎ না ফেরায় আবারও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন তিনি। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার একনেকের সভায় প্রায় ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা খরচে ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কম হওয়ার কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করতে বলা হয়েছে। দীর্ঘসূত্রতার কারণে একটি সড়ক প্রশস্তকরণে ১০৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া দুই বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় যাচ্ছে সাড়ে সাত বছর। সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়া লাঙ্গলবন্দ-মিনারবাড়ী সড়ক উন্নয়নে ব্যয় বেড়েছে ১১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অস্বাভাবিক খরচ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। এর কারণ সমন্বয়ের অভাব ও মূল কাজের বাইরে বিভিন্ন কাজ যোগ হওয়া। আসলে উন্নয়ন প্রকল্পে সময় বাড়লে বেড়ে যায় বাজেট। নষ্ট হয় সরকারের ভাবমূর্তি। সুতরাং যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে যথাযথ সমন্বয়, নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে।

সর্বশেষ খবর