শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নাম-ঠিকানাহীন রিক্রুটিং এজেন্সি

নিষ্ক্রিয় প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হোক

সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার পর গত ২৫ বছর ধরে কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই ১৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সির। তিন বছর পরপর লাইসেন্স নবায়নের শর্ত থাকলেও এরা সে শর্ত পালন করেনি। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নম্বর থাকলেও তাদের কোনো নাম-ঠিকানা মিলছে না। এখন এসব নাম-ঠিকানাবিহীন রিক্রুটিং এজেন্সির কার্যক্রম অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিষ্ক্রিয় এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ-বায়রাকে তারা চিঠিও পাঠিয়েছে। বিএমইটি এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮০৬টি প্রতিষ্ঠানকে জনশক্তি রপ্তানির জন্য লাইসেন্স দিয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স নিয়ে বাস্তবে কী ধরনের কাজ করছে, আদৌ এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বায়রা বিএমইটির চিঠি পাওয়ার পর উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখছে। অন্যদিকে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য চাওয়া হয়েছে তার অনেকটির বিষয়ে কোনো তথ্য বায়রার কাছেও নেই। নিয়মানুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা বিএমইটিতে থাকার কথা। বায়রা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নিয়ম ছিল লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বাধ্যতামূলক বায়রার সদস্য হতে হবে। কিন্তু ২০১২ সালে এ বাধ্যবাধকতা তুলে দেয় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিএমইটির সার্ভারে রক্ষিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর লাইসেন্সসংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, উল্লিখিত ১৫০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮২টির নাম ও লাইসেন্স নম্বর ছাড়া অন্য কোনো তথ্য নেই। ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের সিরিয়াল নম্বর ছাড়া রিক্রুটিং এজেন্সির নাম-ঠিকানা কিছুই নেই। ১৫০ প্রতিষ্ঠান জনশক্তি রপ্তানি করছে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণও পায়নি বিএমইটি। তাদের শুভঙ্করের ফাঁকি জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা সময় দেশের সুনাম নষ্ট করে। সুতরাং সরকার চাইলে শর্তানুযায়ী নিষ্ক্রিয় প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে দিতে পারে।

সর্বশেষ খবর