শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকার জলাবদ্ধতা

বেদখল খালগুলো উদ্ধার করতে হবে

বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় রাজধানী। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। জলাবদ্ধতায় হয় জনভোগান্তি। বর্ষা এলে চলে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। ঢাকা ওয়াসাসহ ছয়টি সংস্থার দায়িত্ব থাকলেও পরিকল্পনাতেই যেন তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। এর সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ও পরস্পরের দোষারোপ তো আছেই। প্রতি বছর বৃষ্টির মৌসুমে এ রকম জলাবদ্ধতা হচ্ছে। দিন দিন এ সংকট প্রকট হচ্ছে। কার্যত নাগরিকরাই ভুক্তভোগী। পানি সরবরাহ, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে ঢাকা ওয়াসা দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। তারা এককভাবে প্রধান সংস্থা, যারা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে। সিটি করপোরেশন, রাজউক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসনও এ সংস্থার সঙ্গে কিছু কাজ করে। নগর পরিকল্পনা নিয়ে রাজউকের মহাপরিকল্পনা ২০ বছর পর পর করা হয়। সর্বশেষ পরিকল্পনা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন হয়নি। ১৯১৭ সালের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ঢাকায় পানি নিষ্কাশন জরুরি। সেজন্য ঢাকার আশপাশের নদ-নদী ও ভিতরের খালগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা জলাধার সংরক্ষণের বদলে এগুলোর অস্তিত্ব বিলোপ করে পুরো নগরকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছি। কলকারখানার দূষণের কারণে আমরা নদ-নদীকেও ‘সোর্স অব ওয়াটার’ করতে পারছি না। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীতে ৩ হাজার ৫৪২ একর জমি জলাধারের জন্য রাখার কথা। এ নগরীতে একসময় ৫০টির বেশি খাল ছিল। সব পাওয়া না গেলেও ২০টির মতো পাওয়া যায়। সেগুলো উদ্ধার করে বৃষ্টির পানি খালের মাধ্যমে নেমে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। পানিপ্রবাহের পথ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে যাতে খালের মাধ্যমে তা নদ-নদীগুলোয় পড়বে। এ ক্ষেত্রে খালের ব্যবহার হবে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে। কখনো কখনো ময়লা জমে পানিপ্রবাহে বাধা

সৃষ্টি করে। সুতরাং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা নাগরিক দায়িত্ব।

তা বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর