মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস

দীর্ঘসূত্রতার অবসান হোক

দুই দশকেরও আগে ১৯৯৮ সালের বন্যার পর রাজধানী আবারও বন্যার হুমকিতে পড়েছে। সংলগ্ন নদ-নদীতে যেভাবে বাড়ছে বন্যার পানি তাতে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে বন্যার ছোবল হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ১৯৯৮ সালের বন্যার পর রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তথা ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরও পরিকল্পনাটি আলোর মুখ না দেখায় প্রায় প্রতি বছরই রাজধানীর পূর্বাঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে থাকছে। এ বছর এ ঝুঁকি দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। এ বছর দেশজুড়ে ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদ-নদীর পানি কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, কোথাও বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। তুরাগ ও বালু নদ এবং শীতলক্ষ্যা নদীর অতি প্লাবনে যে কোনো সময় বন্যা আঘাত হানতে পারে রাজধানীর বড় একটি অংশে। রাজধানীকে বন্যামুক্ত রাখতে দুই দশক আগে ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, নকশা প্রণয়নে বছরের পর বছর ক্ষেপণ এবং বারবার ডিপিপি পরিবর্তন ও অর্থ সংকটে দুই দশক ধরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে পরিকল্পনাটি। তবে আশার কথা, চলতি মাসেই প্রকল্পের স্টাডি রিপোর্ট তৈরির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বহুমুখী এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে একদিকে রাজধানী যেমন বন্যার হাত থেকে রেহাই পাবে তেমন এটিকে সার্কুলার রোড ও রেলপথ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণ হলে রাজধানীর পূর্বাঞ্চল একদিকে বন্যার ছোবল থেকে মুক্ত থাকবে অন্যদিকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক সুবিধা অর্জিত হবে। টঙ্গী খাল থেকে শুরু করে ইস্টার্ন বাইপাস তুরাগ নদের পাশ দিয়ে তেরোমুখ ব্রিজ হয়ে বালু নদ ও পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অতিক্রম করে বালু নদের পাশ দিয়ে মাদানি এভিনিউতে মিলিত হবে। রাজধানীর যানজট নিরসনেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বাঁধটি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর