বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

দূর হোক করোনার অভিশাপ

করোনাকালে এ বছর হজ পালিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতসংখ্যক হাজীকে নিয়ে। প্রতি বছর ইসলামের সূতিকাগার পবিত্র মক্কা নগরীতে হজের জন্য লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হন। এ বছর আড়াই হাজার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১ হাজার জনকে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বহিরাগত নয়, শুধু সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছে করোনাকালের হজ পালনের জন্য। হজ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থাপন্ন মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় ইবাদত। জীবনে অন্তত একবার হজ পালনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে। কাবাকেন্দ্রিক মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এ ইবাদতকে। জিলহজের ৯ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা হজ পালনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আরাফাত ময়দান প্রতি বছর লাখ লাখ হাজীর ‘লাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠলেও এবার সে চিত্র অনুপস্থিত; যা বিশ্ববাসীর জন্য মর্মপীড়ার কারণ। হজ পালনের মাধ্যমে মহান স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসীদের আনুগত্য যেমন প্রকাশ পায় তেমন দেহ ও মনকে আল্লাহমুখী করা সম্ভব হয়। এ ইবাদতের মাধ্যমে মুমিনরা আত্মশুদ্ধির সুযোগ পায়। হজব্রত পালনের মাধ্যমে বান্দা অতীতের ভুলত্রুটির জন্য মহান আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ ও নিষ্পাপ হওয়ার সুযোগ পায়। হজের মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে ওঠে। নানা ভাষার নানা বর্ণের নানা জাতির লাখ লাখ মানুষ একই ধরনের পোশাক পরে আল্লাহর কাছে নিজেদের সমর্পিত করে। হজ উপলক্ষে মানবজাতির যে মহামিলন ঘটে তা বিশ্বজুড়ে সৌহার্দ্যরে পরিবেশ গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা জোগায়। বিশ্বশান্তি ও পারস্পরিক সহমর্মিতার শিক্ষা দেয় এ ইবাদত। আমরা আশা করব, করোনাকালে হজ পালনের স্বাভাবিক ধারা ব্যাহত হলেও আগামী বছর থেকে তা স্বাভাবিক রূপ ধারণ করবে। এবারের হজে হজ পালনকারীরা মহান আল্লাহর কাছে জগদ্বাসীকে করোনার অভিশাপ থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করবেন। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণেও তারা তাঁর সহায়তা কামনা করবেন।

সর্বশেষ খবর