বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

খাদ্য নিরাপত্তা

কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সূচক ২০১৯ অনুযায়ী ১২৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৩তম। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। মোট খাদ্য চাহিদার ৯৫ শতাংশের জোগানদাতা কৃষক। তাদের ৮৮.৪৮ শতাংশই প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলা, কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের ফলে দীর্ঘকাল ধরেই খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি উৎকণ্ঠা রয়েছে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস মহামারী কেবল খাদ্য নিরাপত্তা আরও উদ্গিরণ করেছে মাত্র। কভিড-১৯-এ পৃথিবীর দেড় লাখের বেশি মানুষের জীবন সংহার করেছে এবং ২৩ লাখের বেশি সংক্রমিত হয়েছে। এ মহামারীকে নজিরবিহীন স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে লকডাউনে আছে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ। সুতরাং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট বিশাল অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি খাদ্যাভাব ও অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় এ সংকটে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির অগ্রগতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের মানুষের আর যাই হোক, খাদ্যের অভাব যেন না হয়, তা আমাদের দেখতে হবে। আমরা সারের দাম কমিয়েছি, উন্নতমানের বীজ ও অন্যান্য উপকরণ দিচ্ছি। কৃষকের প্রতি সরকারে আন্তরিকতা তুলে ধরে বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসডিজির ১৭টি নির্দেশনা রয়েছে। তার মধ্যে যে কটি আমাদের দেশের প্রয়োজন সেগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু চলমান লকডাউন পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে কৃষকের উৎপাদিত বেশির ভাগ ফসলই মাঠে নষ্ট হচ্ছে। এমনকি কৃষিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। গ্রামভিত্তিক কৃষি অর্থনীতি এবং প্রবৃদ্ধি তৈরিতে ও করোনাভাইরাস সংকটের কারণে বেকারত্ব মোকাবিলায় কর্মসংস্থান তৈরির জন্য কৃষিতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর