শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা

আইন প্রণয়ন সময়ের দাবি

উন্নয়নশীল বিশ্বের যেসব দেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়, সেসব দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে মিশ্র স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলা হয়। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। অন্যদিকে ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্ষুদ্র ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলো বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। বেসরকারি খাতের স্বাস্থ্যসেবা দানের জন্য ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজের (রেগুলেশন) ৪ নম্বর অর্ডিন্যান্সের অধীন লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর এর আওতায় পরিচালিত হচ্ছে দেশের বেসরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা। অধ্যাদেশটি যখন করা হয়েছিল, তখন দেশে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে তার অবয়ব কয়েক গুণ বাড়লেও বেসরকারি খাতের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা হয়নি। অধ্যাদেশ হওয়ার পর আইন প্রণয়নে পাঁচবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ভেস্তে যায়। এ খাতে যুগোপযোগী আইন বা নীতিমালা না থাকায় বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতিও বেড়েছে লাগামহীনভাবে। প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা। করোনাকালে এ খাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি আরও প্রকাশ্যে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী দেশে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৬৫৪টি। আর ৫ হাজার ৫৫টি বেসরকারি হাসপাতাল। তবে সারা দেশে এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। দেশে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেয়। সুতরাং সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে অধ্যাদেশটিকে যুগোপযোগী করে পরিপূর্ণ আইনে পরিণত করা জরুরি। এ ধরনের আইন বা নীতিমালাগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে; যাতে যে কেউ এ আইন বা নীতিমালা অনুযায়ী তার প্রাপ্য সেবা পাচ্ছেন কিনা, তা যাচাই করতে পারেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর