শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা পরিকল্পনা নিতে হবে

করোনা মহামারীর জন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ আছে। এজন্য ক্ষতির শিকার হচ্ছে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়- সর্বস্তরের শিক্ষার্থী। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন উদ্যোগী হয়ে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পাঠদানের তাগিদ দিয়েছিল। এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে ছুটি কমানো, সাপ্তাহিক ছুটিতে ক্লাস নেওয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে সেশনজট নিরসনের পরিকল্পনা করেছে। ইতোমধ্যে অনলাইন ক্লাসও শুরু হয়েছে। যদিও দেশে সত্যিকার অর্থে অনলাইন শিক্ষার অবকাঠামো তৈরি হয়নি। নামমাত্র অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে টিউশন ফি আদায় কতটা যৌক্তিক ভাবতে হবে। এ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা কতখানি শিখবে তা বলা মুশকিল। এজন্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যদি নতুন ছাত্র ভর্তি না হয়, ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা যদি অর্থাভাবে রি-এনরোলমেন্ট করতে না পারে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফান্ড খুব কমে যাবে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোর এখনই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কেউ কেউ বেতন দেওয়া বন্ধ করেছে, কেউ বোনাস দেয়নি। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বেতন কমিয়ে দিয়েছে শিক্ষকদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে আছে। অনেকের পরিবারের হয়তো উপার্জনকারীর চাকরি চলে গেছে। অথবা অন্য সমস্যায় পড়েছে তারা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীর মানসিক দিকটিও চিন্তা করতে হবে আমাদের। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা রয়েছে, তারা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে। অনলাইন ক্লাসের একটি অসুবিধা হচ্ছে, এটি খুব ব্যয়বহুল। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নেটওয়ার্কিং সমস্যা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট কানেকশনের মূল্য পরিশোধ করলে বা বিনামূল্যে সরবরাহ করলে বড় একটি সমস্যার লাঘব হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি হ্রাসের বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পৃক্ত রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নতুন করে সাজাতে হবে।

সর্বশেষ খবর