সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি

পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর অনেক আগ থেকেই প্রবাসী আয় ছাড়া অর্থনীতির সব সূচক খারাপ অবস্থায় ছিল। এখন করোনার মধ্যেও হঠাৎ করে আমদানিতে ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুন মাসে আমদানিতে প্রায় ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ। এর ফলে অর্থনীতির ভালো সূচকে প্রবাসী আয়ের সঙ্গে যুক্ত হলো আমদানিও। ফলে গতি পাচ্ছে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকা-। খুলেছে সব ধরনের দোকানপাট। স্বাভাবিক হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বাড়তে শুরু করেছে উৎপাদন ও রপ্তানি আয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট-বড়-মাঝারি সব ধরনের শিল্প-কারখানা। আবার চালু হয়েছে। এ ছাড়া মার্চ-এপ্রিল সময়ে বাতিল বা স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশের ৮০ শতাংশই এরই মধ্যে ফিরে এসেছে। যদিও দেশের প্রায় ৪০টি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ায় কৃষি খাতের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। থেমে গেছে পানিবন্দী মানুষের জীবন-জীবিকা। টানা ছয় মাসের অচলাবস্থায় যারা পুঁজি হারিয়েছেন, তারা আবার নতুন করে ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আকাশপথও খুলে দেওয়া হয়েছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে এ মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশ পুরোপুরি লকডাউনে নেই। বাংলাদেশেও? স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার থেকে আবার শুরু হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে করোনায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আর সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ (১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে এবং অর্থনীতিকে আগের অবস্থানে পৌঁছতে আরও সময়ের প্রয়োজন হবে। নতুন বাজার নতুন পণ্য রপ্তানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর