মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক অতিকথন

শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিন

অতিকথন বাঙালির অভ্যাসের অনুষঙ্গ এমনটি ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমাদের রাজনীতিকদের বাৎচিত বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি যথার্থভাবে অনুধাবন করা যাবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যারা তারাও অতিকথনে রাজনীতিকদের টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সমাবেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনলে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী না রাজনৈতিক দলের নেতা তা ঠাওর করতেও কষ্ট হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের একাংশ যেভাবে অর্বাচীনতায় মেতে উঠেছেন তা শুধু আপত্তিকর নয়, আইনগত ও নৈতিকতার দিক থেকে গর্হিত বলে অভিহিত করা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনবিধির পরিপন্থী পোস্ট দেওয়া সরকারি চাকরিজীবীদের কারও কারোর খাসলতে পরিণত হয়েছে। সরকারের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোনোভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া বিধিসম্মত না হলেও তা চলছে ফ্রিস্টাইলে। আচরণবিধি যথেচ্ছভাবে ভঙ্গ করা হলেও তা দেখার মতো কোনো কর্তৃপক্ষ দেশে আছে বলে মনে হয় না। দুনিয়ার সব সভ্য দেশে সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকাকে নিজেদের কর্তব্য বলে ভাবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের জানান দেওয়ার অশুভ প্রবণতা তারা কল্পনায়ও ভাবেন কিনা সন্দেহ। সন্দেহ নেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিগত যোগাযোগমাধ্যম। ব্যক্তি হিসেবে যে কেউই এ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট হতে পারেন। কিন্তু গন্ডি ছাড়িয়ে এ মাধ্যমকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার শুধু অনৈতিক নয়, চাকরিবিধিরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমাদের বিশ্বাস, সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর হবে। তারা যাতে কোনোভাবে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলার বালখিল্যতায় না ভোগেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। এ কথা ঠিক, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ভঙ্গের কান্ডজ্ঞানহীন চর্চার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। এ ধরনের শাপদদের কারণে সরকারের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হবে- তা কাম্য হওয়া উচিত নয়। নিজেদের স্বার্থেই সরকার প্রশাসনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হবে, এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর