বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

স্থানীয় সরকার নির্বাচন

যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ দিতে হবে

অক্টোবরে পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্ব^র দলীয় প্রতীকে ২৩৪ পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের সঙ্গে ব্যাপক সংশ্লিষ্টতা থাকে। এ ক্ষেত্রে ভোটাররা সাধারণত বিবেচনায় নেন প্রার্থীকে, দলকে নয়। এ বিবেচনার ভিত্তি জনগণের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্ক, জনসেবার ঐতিহ্য, পারিবারিক সম্পর্ক প্রভৃতি। দলীয় পরিচয়ও ক্ষেত্রবিশেষ বিবেচনায় থাকে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়রদের কেউ কেউ ভিন্ন দল-মতের হলেও সরকারের উন্নয়ন কাজকর্মের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেন। এজন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় জীবনে বেশ গুরুত্ব বহন করে। আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে রাজনৈতিক দলগুলো- এমনটিই প্রত্যাশিত। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী এবং দুঃসময়ে দলের জন্য যারা হাল ধরেছেন, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারসহ সব উপনির্বাচনে পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপি স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে চারটি উপনির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি। তবে সামনে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ভোটে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। আইন অনুযায়ী কোনো ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল স্বাভাবিকভাবেই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। আমাদের প্রত্যাশা, বড় দলগুলোর অংশগ্রহণে যোগ্য প্রার্থীদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া হবে। যারা সত্যিকারের জনসেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর