শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

শোকের বদলে আত্মপ্রচার

বন্ধ হোক এ অসৎ প্রবণতা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীকে আত্মপ্রচারের সুযোগ হিসেবে যারা বেছে নিচ্ছেন তাদের অর্বাচীন বলে অভিহিত করলেও হয়তো কম বলা হবে। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্য, বঙ্গবন্ধুর লালিত দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর একশ্রেণির নেতা-কর্মী আত্মপ্রচারের এ গড্ডলিকা প্রবাহে যেভাবে গা ভাসাচ্ছেন তা উদ্বেগজনক। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে শোক ও শ্রদ্ধার যুগপৎ বন্ধনে। কিন্তু স্বার্থান্বেষীরা জাতির পিতার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে নিজেদের আত্মপ্রচারকে কীভাবে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তা রাজধানীর সর্বত্র লাগানো পোস্টার ও ফেস্টুনের দিকে নজর দিলেই অনুধাবন করা যায়। আত্মপ্রচারকারীদের সীমাহীন ধৃষ্টতার প্রকাশও ঘটেছে কোনো কোনো পোস্টার ও ফেস্টুনে। সেগুলোয় জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের বদলে নিজেদের ছবির প্রদর্শনীই প্রাধান্য পেয়েছে। আত্মপ্রচারে পিছিয়ে নেই পাড়া-মহল্লার দুর্বিনীতদের বিভিন্ন সংগঠন। বিশেষ করে রাজধানীর ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনপ্রত্যাশী হাইব্রিড নেতারা যেসব বিশাল ব্যানার লাগিয়েছেন তাতে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার বদলে আত্মপ্রচারের নীচুতারই প্রকাশ ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতার মহানায়ক, সর্বকালের সেরা বাঙালি। জাতীয় মর্যাদারও প্রতীক তিনি। তাঁর শাহাদাতবার্ষিকীতে শোক ঢেকে আত্মপ্রচারের অশুভ প্রবণতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। জাতির হৃদয় কার্নিশে যে নেতার ছবি পেরেকবিদ্ধ, তাঁর শাহাদাতবার্ষিকীকে আত্মপ্রচারের সুযোগ হিসেবে নেওয়া নৈতিকতাসম্পন্ন কিনা- প্রশ্নের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর আকাশছোঁয়া মর্যাদার কথা মনে রেখেই তাঁর ছবি যাতে অনুমতি ছাড়া পোস্টারে-ব্যানারে ব্যবহার করে কেউ আত্মপ্রচারের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট উদ্যোগ নেবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর