শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

আটকে পড়েছে প্রবাসীরা

সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিন

করোনাকালে দেশে আটকা পড়েছেন বিপুলসংখ্যক প্রবাসী। দেশে ছুটি কাটাতে এসে তারা আটকা পড়েন প্রধানত আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে। প্রবাসীদের অনেকের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে কিংবা কারোর মেয়াদ সামান্য কিছু দিন বাকি। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যারা কর্মরত তারা বিমানের টিকিট না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। শুধু সিলেটেই কয়েক হাজার দুবাই ও আবুধাবি প্রবাসী আটকা পড়েছেন। গত ৪ জুলাই আবুধাবি ও দুবাইগামী ফ্লাইট শুরু হওয়ায় প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। কিন্তু আবুধাবিগামী ফ্লাইটের সংখ্যা কম থাকায় প্রবাসীরা পড়েছেন বিপাকে। এদের অনেকে চলতি মাসের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরে যেতে না পারলে সমূহ সংকটে পতিত হবেন। ইতোমধ্যে প্রবাসীরা বিমানের টিকিটের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেছেন। তবে বিমানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সপ্তাহে দুবাইয়ে পাঁচটি ও আবুধাবিতে বিমানের দুটি ফ্লাইট যায়। দুবাইয়ে টিকিটের সমস্যা না থাকলেও আবুধাবিতে ফ্লাইট কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চলতি মাসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রবাসীদের কাছ থেকে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়েছেন। সিট খালি হলে ক্রমান্বয়ে তারা আবুধাবি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বিপুলসংখ্যক মানুষ দেশে এসে আটকা পড়েছেন আকাশপথ বন্ধ থাকায়। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দেশে আটকা পড়ায় রেমিট্যান্স আয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। করোনাকালে যেসব প্রবাসী দেশে আটকা পড়েছেন তাদের দ্রুত কর্মস্থলে ফেরত পাঠাতে সরকার উদ্যোগ নেবেন- এমনটিই আশা করছেন ভুক্তভোগীরা। তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। ইচ্ছা করলেই কোনো গন্তব্যস্থলে বিমানের ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। যেসব দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে তা চালুর ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন। আমরা আশা করব সরকার কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর