মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবাতাস

জোরদার হোক ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া

দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের হৃৎপি- ভাবা হয় বন্দরনগর চট্টগ্রামকে। করোনাকালে এ নগরের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। আমদানি-রপ্তানিতে দেখা দিয়েছিল নজিরবিহীন ধস। করোনা বিদায় না নিলেও এ মহামারীকে অগ্রাহ্য করেই সারা দেশের মানুষ নেমে পড়েছে জীবন-জীবিকার সংগ্রামে। তার ছাপ পড়েছে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও। নতুন অর্থবছরে আগের চার মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। ব্যবসায়ীদের আশা, সেপ্টেম্বর নাগাদ আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জেও ফিরে আসবে আগের চাঞ্চল্য। স্মর্তব্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের কিছু দিনের মধ্যে দেশের প্রধান পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী ও ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট অনেকে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ভয়াবহ ধস নামে ব্যবসা-বাণিজ্যে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ কমে যায় বেচাকেনা। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর কোরবানির ঈদ ঘিরে কিছুটা চাঙ্গা হতে থাকে এ বাজার। কিন্তু বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা আসতে না পারায় ফের ধাক্কা লাগে। আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসের শেষের দিকে ফের স্বাভাবিক হয়ে উঠবে ব্যবসা-বাণিজ্য। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুরো গতি পাবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন চট্টগ্রাম বন্দরে করোনা পরিস্থিতির শুরুতে যে ধাক্কা লেগেছে, তা সামলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। স্বীকার করতেই হবে, করোনার বিরুদ্ধে চলমান লড়াই এখনো শেষ হয়নি। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। গড়ে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন ৫০-এর কাছাকাছি। তবে মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও জিইয়ে রাখতে হবে। যথাসম্ভব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অব্যাহত রাখতে হবে উৎপাদন। অস্তিত্বের স্বার্থেই জোরদার করতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড।

সর্বশেষ খবর