বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

ক্ষতি পূরণে বিকল্প চিন্তা থাকতে হবে

করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হবে না। এ পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে যদি বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হয়, তাহলে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় এবার মেধাবৃত্তি দেওয়া হবে না। তবে উপবৃত্তি কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে বার্ষিক পরীক্ষা হবে, তা স্কুল কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) তিনটি বিকল্প পাঠ পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছিল। যদি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে স্কুল খোলা সম্ভব হয় তাহলে ওই পাঠ পরিকল্পনা চালু করা হবে। সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি, তাই সেপ্টেম্বরকে বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে না। অক্টোবর ও নভেম্বরকে সামনে রেখে যে পাঠ পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। যদি বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হয় তাহলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে অষ্টম শ্রেণি শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জেএসসি ও জেডিসিতে ২৫ লাখ শিক্ষার্থী। আটকে আছে এইচএসসি পরীক্ষাও। বন্যা ও নদী ভাঙনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেপের পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার বিকল্প চিন্তা থাকাও জরুরি হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর