শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঋণখেলাপি বাড়ছে

কঠোর পদক্ষেপের বিকল্প নেই

প্রণোদনার পরও বেড়ে চলেছে খেলাপি ঋণ। ঋণখেলাপিরা সর্বাবস্থায় খাইখাই মনোভাব জিইয়ে রাখায় সরকারের সদিচ্ছা কোনো কাজে লাগছে না। নানা সুবিধা দেওয়ার পরও জুন শেষে খেলাপি ঋণ কমার বদলে বেড়েছে আগ্রাসীভাবে। মার্চ থেকে জুন প্রান্তিকে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা; যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯.১৬ শতাংশ। সুবিধা দিয়ে বা অনুকম্পা প্রদর্শন করে খেলাপি ঋণ যে কমানো যাবে না তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যারা ঋণ নিয়ে পাচার করেছে, ভিন্ন খাতে ব্যবহার করেছে তাদের কারণেই খেলাপি বেড়েছে। অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তারা নতুন সুবিধার আশায় থাকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার-ঘোষিত প্যাকেজ সন্তোষজনকই ছিল। এর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হলে ব্যাংকিং খাতের জন্য সুফল বয়ে আনত। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের অসৎ মনোভাবে তা সম্ভব হয়নি। অনেক ব্যাংকার হয়তো তাদের সহায়তা করেছেন। তারা মনে করছে টাকা ফেরত না দিলে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে। খেলাপি কমানোর জন্য কঠোরভাবে ঋণ আদায় করাই হবে একমাত্র পদক্ষেপ। পুনঃ তফসিল ও হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে ঋণ ফেরত দিচ্ছে না ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসাই হবে উত্তম পথ। ঋণখেলাপিদের শাস্তি দিতে আদালতে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার কথা ভাবতে হবে। যারা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সুবিধা নিয়েছে তারাও আবার খেলাপি হয়ে পড়েছে বোধগম্য কারণে। পেশাদার ঋণখেলাপিরা মনে করছে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আরও সুবিধা দেওয়া হবে। ঋণ খেলাপের পরিমাণ আকাশচুম্বী হয়ে ওঠায় ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সৎ উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে গেলে তাদের ফেরত আসতে হচ্ছে ব্যাংকে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে সংকট। এ অবস্থার নিরসনে ঋণখেলাপিদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার নীতি ত্যাগ করতে হবে। খেলাপিবান্ধব ব্যাংক

কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর