শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় বাড়িতে চিকিৎসা

সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

দেশে পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার কমছে। বৃহস্পতিবার রোগী শনাক্তের হার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, সপ্তাহওয়ারি হিসাবে টানা সাত সপ্তাহ সংক্রমণ শনাক্তের হার কমতির দিকে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে এ হার এখনো বেশি। সংক্রমণ শনাক্তের হার বেশি, এমন শীর্ষ ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। আর করোনাভাইরাস আক্রান্তের ৯৬ শতাংশ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশ। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন অনেক করোনা পজিটিভ। হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা থাকলেও ভোগান্তির ভয়ে তারা হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। তা ছাড়া হাসপাতালে সেবার মান নিয়ে নানা অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের সামাজিকভাবেও হেনস্তা হতে হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৩২৩ জন। বিপুল পরিমাণ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ায় শয্যা ফাঁকা থাকছে হাসপাতালে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালকে কভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল ঘোষণা করে সরকার। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালকেও অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে পশুর হাট ও গ্রামে যাতায়াত কেন্দ্রিক যে লোকসমাগম হয়েছিল, তাতে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ ছাড়া প্রায় সবকিছুই খুলে গেছে এবং সবকিছু অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতো হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধিও পুরোপুরি মানতে

দেখা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাড়িতে চিকিৎসা

গ্রহণ এবং বাইরে চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর