মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ইতিহাস

ঘসেটি বেগম

ঘসেটি বেগম নবাব আলীবর্দী খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। আসল নাম মেহেরুন্নেসা। নবাব আলীবর্দী খান তাঁর তিন কন্যাকে বড় ভাই হাজী আহমদের তিন ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। ঘসেটি বেগমের বিয়ে হয়েছিল নওয়াজিশ মুহম্মদ শাহমাত জংয়ের সঙ্গে এবং তাঁকে (শাহমাত জংকে) ঢাকার নায়েবে নাজিম নিযুক্ত করা হয়েছিল। আলীবর্দী খানের কন্যা তাঁর মর্যাদার প্রভাব প্রয়োগ করে প্রচুর ধনসম্পদ সঞ্চয় করেন। নিঃসন্তান নওয়াজিশ-ঘসেটি দম্পতি সিরাজউদ্দৌলার কনিষ্ঠ ভাই ইকরামউদ্দৌলাকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইকরামউদ্দৌলার মৃত্যু হয় এবং তার মৃত্যুর পর নওয়াজিশ অল্প কিছুদিন জীবিত ছিলেন। ঘসেটি বেগম তাঁর স্বামীর বিপুল ধনসম্পদের মালিকানা লাভ করেন। আগেকার সঞ্চিত ধনসম্পদসহ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তাঁর ধনসম্পদ তিনি মতিঝিল প্রাসাদে সঞ্চিত করেন। বৃদ্ধ নবাব তাঁর কনিষ্ঠ কন্যার পুত্র সিরাজউদ্দৌলাকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করলে ঘসেটি বেগম এ মনোনয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং সিরাজউদ্দৌলার পরিবর্তে তাঁর দ্বিতীয় বোনের পুত্র শওকত জংকে সিংহাসনে বসানোর চেষ্টা করেন। মাতামহের মৃত্যুর পর সিরাজ মসনদে আরোহণ করেন এবং অনতিবিলম্বেই ঘসেটি বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাস্বরূপ তাঁকে প্রাসাদে অবরুদ্ধ করেন। সিরাজউদ্দৌলা রাজবল্লভের কাছ থেকেও ঢাকার কোষাগারের একটি বিবরণ চান। কিন্তু রাজবল্লভ সঠিক বিবরণ দিতে ব্যর্থ হন। তাঁর পুত্র কৃষ্ণবল্লভ পালিয়ে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফোর্ট উইলিয়ামে আশ্রয় নেন। কৃষ্ণবল্লভকে তাঁর কাছে হস্তান্তরের জন্য নবাব কলকাতার ইংরেজ গভর্নর রজার ড্রেকের কাছে পত্র পাঠান।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর