মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক

টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করুন

বন্যায় দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটেছে। বাংলাদেশে অবকাঠামোগত নির্মাণকাজে শুভঙ্করের ফাঁকি ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ নিশ্চিত করতে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের পোষা হয় তার সিংহভাগের আনুগত্য উৎকোচদাতা ঠিকাদারদের প্রতি হওয়ায় কোনো সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের পর তিন মাসও ব্যবহারযোগ্য থাকে না। সরকারি ভবন নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই পলেস্তরা উঠে যাওয়া নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছর ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় দেশের সিংহভাগ সড়ক তছনছ হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সড়কের বিটুমিন উঠে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এতে যানবাহন চলায় সীমাহীন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক থাকলেও মালামাল নিয়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে হচ্ছে মানুষকে। মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুধু বন্যা নয়, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার বিটুমিন উঠে খোয়া বের হয়ে যায় নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের কারণে। রাস্তা তৈরি বা সংস্কারের কিছুদিন না যেতেই অনেক স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়। বন্যার পানি নামার পর কৃষি থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নিতে কর্তৃপক্ষীয় গরজ অনুভূত হচ্ছে না। এতে শিগগিরই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা দেখছে না বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। অনেক স্থানে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভাঙাচোরা সড়ক এবারের বন্যায় একেবারেই চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বন্যায় যেনতেনভাবে নির্মিত কালভার্টগুলোর অবস্থাও নড়বড়ে। রাস্তা নির্মাণের কিংবা মেরামতের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি থাকায় তা সরকারি অর্থেরই শুধু অপচয় ঘটাচ্ছে। এ অপচয় রোধের কলাকৌশল বের করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় সড়ক নির্মাণ তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য, শিক্ষক

ও সমাজসেবীদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠনের কথা ভাবা যেতে

পারে। চুরি ও লুটপাট বন্ধে যা ধন্বন্তরি বলে বিবেচিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর