মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ

বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে

বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে এ পর্যায়ে এসেছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরজ্ঞান করা হয়েছে। আজ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালন হবে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৮ সেপ্টেম্ব^র প্রথমবারের মতো এ দিবস পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘কভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’। সরকার এসডিজি এবং জাতীয় অঙ্গীকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের চতুর্থ লক্ষ্যে সাক্ষরতা বিস্তার, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল। নির্ধারিত সময় ছয় বছর আগেই চলে গেছে। তার পরও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। দেশে এখনো ২৫ শতাংশের বেশি নিরক্ষর, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সাক্ষরতার বর্তমান হার প্রমাণ করে শিক্ষা খাতে সরকারের কথা ও কাজে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বিবিএসের মতে একজন ব্যক্তি পড়তে ও নিজের নাম লিখতে পারলেই সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংজ্ঞানুযায়ী সাক্ষরতা হলো পড়ার পাশাপাশি অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে ও লেখার বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা, যোগাযোগ স্থাপন করা এবং গণনা করার দক্ষতা। বিশেষজ্ঞদের মতে কেউ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলে সাক্ষরতাসম্পন্ন ধরা হয়। দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করতে প্রয়োজন একটি বাস্তবমুখী, টেকসই ও সমন্বিত পদক্ষেপ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।

সর্বশেষ খবর