বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অবৈধ গ্যাস সংযোগ

অপরাধীদের আইনের আওতায় নিন

চোর ও মহাচোরদের খপ্পরে পড়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। রাজধানীতে তিতাসের যেসব গ্যাস সংযোগ রয়েছে তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অবৈধ। তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রতিদিনই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণেই গ্যাসের পাইপ লিকের ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে অবৈধ গ্যাস সংযোগের চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের অসৎ নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধি নামধারীরাও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে জড়িত। ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয় অবৈধ গ্যাস সংযোগ। মাঝেমধ্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের অভিযান চলে। তবে সে অভিযান শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে না। উচ্চ পর্যায়ের চাপে কোথাও লাইন কাটা হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কিছুদিন পরই আবার অবৈধ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের তত্ত্বাবধানে চলে গ্যাস চুরির মহাযজ্ঞ। এজন্য রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সংশ্লিষ্টরা রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হয়। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোয় জালের মতো ছড়িয়ে আছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। রাজধানীর পূর্ব থেকে বৃত্তাকারে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর, টঙ্গী, ঢাকার ধামরাই, আশুলিয়া, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও কামরাঙ্গীর চরের বিভিন্ন গ্রামে আবাসিক ও শিল্পকারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মানিকগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরেও এখন অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে গ্যাস দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। মানুষের জীবন পড়ছে ঝুঁকির মধ্যে। এ ঝুঁকির অবসানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ শুধু নয়, যারা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। অবৈধ সংযোগের

সঙ্গে যুক্ত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর