বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে অর্ডার বাড়ছে

পণ্যের মান অটুট রাখতে হবে

বাতিল ও স্থগিতাদেশ হওয়া পোশাকের ক্রয়াদেশের পণ্য নিতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রেতারা। আবার নতুন করে আসছে ক্রয়াদেশও। এরই মধ্যে অনেক কারখানায়ই এ মাস পর্যন্ত কাজ করার মতো পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ চলে এসেছে। ফলে করোনাভাইরাসের শুরুর দিকে বিপর্যস্ত রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতটি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে মার্চে সেখানকার বড় ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করেন। এদিকে দেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর মাসখানেক পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। তাতে এপ্রিলে মাত্র ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। বর্তমানে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের অর্ডার বাড়ছে। বাড়ছে রপ্তানি আয়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট প্রথম দুই মাসে পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর আগস্টে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে নিট পোশাকে। ওভেন পোশাকে প্রবৃদ্ধি কিছু কম। রপ্তানির ধারাবাহিকতা জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকলেই পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে পোশাকশিল্প। তবে ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। যদিও চীনের ব্যবসা ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় বেশি যাবে। কোনো কোনো দেশের বায়ার চীনে অর্ডার দিচ্ছেন না। এ অর্ডারেরর একটা অংশ বাংলাদেশে আসবে। ফলে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে সামনের দিনগুলোয়। করোনা মহামারীর জন্য সরকার রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। সে তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক মাত্র ২ শতাংশ সেবা মাশুলে ঋণ নিয়ে তিন মাসের মজুরি দিয়েছেন। দুই মাসের ব্যবধানে পোশাক রপ্তানিতে গতি ফিরলেও ইতোমধ্যেই বেশ কয়েক হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন পোশাকশিল্প উদ্যোক্তারা। এখন প্রয়োজন সক্ষমতা বাড়ানো। গুণগত মান বজায় রাখা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর