রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিপর্যস্ত শিক্ষা খাত

সময়োপযোগী পরিকল্পনা নিন

করোনার বিস্তার রোধে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সীমিত এবং প্রায় সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বেশির ভাগ দেশে। কার্যত সারা পৃথিবীর শিক্ষাব্যবস্থাই এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক নানা পরিকল্পনার কথা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি। প্রাথমিক পর্যায়ে সংশোধিত লেসন প্ল্যান তৈরি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি-নেপ। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী অক্টোবরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকার স্কুল খুলে দিলে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস চলবে। এরপর পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করা হবে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া নভেম্বরে স্কুল খোলা গেলে ৪০ দিন পাঠদান করে মূল্যায়ন করা হবে। আর করোনার কারণে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না যায় সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। তখন পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে তারা একটি ওয়ার্কপ্ল্যান তৈরি করে দেশের ৬৪ হাজার ৬২০টি স্কুলে প্রয়োগ করবেন। ইতোমধ্যে বাতিল হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা। অন্যদিকে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চলমান থাকলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পাঠদান চলছে না। সে হিসেবে উচ্চবিদ্যাপীঠে অধ্যয়নরত বৃহদাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’রা মানববন্ধন করেছেন। ইউজিসি বলছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে এ দূরত্ব হয়তো নিশ্চিত করা যাবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা অনেকটাই অসম্ভব। আসলে শিক্ষাকে অবহেলা করে আমরা আগামীর করোনামুক্ত পৃথিবীতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পাব না, কখনই না। সুতরাং শিক্ষা নিয়ে আমাদের সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর