সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বঞ্চিত তৃতীয় বাঙালি আইকন

এম জে আকবর

বঞ্চিত তৃতীয় বাঙালি আইকন

মানুষ স্বভাবতই নিঃসঙ্গ নয়। সে সঙ্গপ্রিয়। জীবন আমাদেরকে পরস্পরের কাছাকাছি করে। কাছাকাছির ধরনটা নিবিড় হওয়াকে আমরা বলি বন্ধুত্ব; এ অবস্থার প্রসারণকে বলা হয় ওঠা-বসা-চলাফেরার বলয়; যার বৃহত্তর পর্যায়ের নাম সমাজ। কিন্তু আমরা মরি একা। হয়তো শোকও আমাদের পালন করতে হয় একা একাই।

প্রশংসাত্মক কথা লিখতে গেলেও মূল্যবান কোনো কিছুর ওপর আঘাত দেওয়ার বোধ এসে          যায় : সত্যপরায়ণতার সঙ্গে ক্রমশ সময় অতিক্রমণ করতে থাকা দীর্ঘ কথোপকথন আর কালস্রোতের নানা বাঁক পেরিয়ে কঠিন প্রক্রিয়ার চূড়ান্তে তৈরি হয় আস্থা। প্রণব মুখার্জি, আমার প্রিয় প্রণবদার সঙ্গে আমার পরিচয় যখন আমি কলকাতায় সদ্যোজাত অথচ প্রস্ফুটমান এক দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক। তিনি তখন ছিলেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক বলয়ের সিনিয়র তারকা। রাজনৈতিক মতান্তরকে আলাদা রেখে, কিংবা আরও শুদ্ধভাবে বলা চলে, তিনিই আলাদা রাখতেন, বাংলা ভাষার অননুকরণীয় মিষ্টতার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মেলবন্ধন এগিয়ে নিতে থাকলাম।

পরীক্ষাটা এলো ১৯৮৫-এর পরে। প্রণবদা নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আস্থা হারালেন; চলে গেল তাঁর মন্ত্রিত্ব এবং সেই সঙ্গে হারালেন রাজধানীতে পাওয়া বিরাট সরকারি বাংলো- যা ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ডাঁট দেখানোর চমৎকার এক উপকরণ। তিনি ছোট একটি ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠলেন; সেখানে ছিল পুজোর জন্য ছোট একটি কামরা। খুব কম লোকই জানেন প্রবণদা কীরকম ধর্মনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ ছিলেন। তাঁর প্রতিটি দিন শুরু হতো পুজো দিয়ে। প্রতি বছরই পুজোয় নানা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করার জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গে তার জন্মভিটায় যেতেন। তার সেই অনাবাদি বছরগুলোয় আমি ঘন ঘন তার সঙ্গে দেখা করতাম। ওই বছরগুলোয় জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চার জন্য তিনি অনেক ফুরসত পেয়েছিলেন। দ্রুত ওপরে ওঠার কিংবা সকরুণ পতনের কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে জ্যোতিষশাস্ত্র। নিয়তির আচরণ তো সুসমঞ্জস নয়।

একেবারেই কমসংখ্যক মানুষ দেখা করতে আসতেন তাঁর সঙ্গে। যারা আসতেন তাদের কখনই তিনি ভোলেননি।

আমাদের ওস্তাদ-সাগরেদ সম্পর্ক। এর ছিল নানামুখ। বই থেকে শুরু করে বক্তৃতা-বিবৃতি, অতীব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তজনিত ভুল-ভ্রান্তি ইত্যাদি প্রাণবন্ত আলোচনা করতাম আমরা। বিষোদগারী মন্তব্যও বাদ যায়নি। আলোচনা-মন্তব্যগুলো আমরা পুরে রাখতাম আমাদের আস্থার জিম্মায়- যেগুলোর একটিও যদি ফাঁস হতো তাহলে ঘটে যেতে পারত অপূরণীয় ক্ষতি। তার উপস্থিতিতে যা গোপনীয় তার অনুপস্থিতিতেও অবশ্যই তা গোপনই থাকবে। জনতার জন্য তার যে জীবন তা জনজীবনই থেকে গেছে। রাজনীতির চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি যেখানটায় পৌঁছেছিলেন তা আমার কাছে আকর্ষণীয় নয়, আমাকে ভাবায় : তাঁর কী অর্জন করা উচিত ছিল?

আধুনিক ভারতের ঘটনাবলি বলছে, প্রণব মুখার্জি হলেন তৃতীয় বাঙালি আইকন যাঁকে তাঁর ন্যায়ত প্রাপ্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রথম বঞ্চিত সুভাষ চন্দ্র বসু। এঁকে ১৯৩০-এর দশকে কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সূক্ষ্মচালে সরিয়ে দেন মহাত্মা গান্ধী। অপসারণের যেসব যুক্তি দেখানো হয় ঐতিহাসিক যাচাইতে সেসব যুক্তির অসারতা ধরা পড়ে। সুভাষ বসু কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ থেকে ভারতের মুক্তির অভিন্ন লক্ষ্যের দিকে নিজস্ব পন্থায় এগিয়ে গেলেন। জাপানের মদদ নিয়ে গড়ে তুললেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও বেঁচে ছিলেন সুভাষ; পরবর্তীকালে দেশ তাকে হারায়। কী কারণে তিনি নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক চলেছে। এসব তর্কাতর্কি থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারি : ক্যারিশমাটিক সুভাষ বসু যদি ভারতে ফিরে আসতেন তাহলে ১৯৬২-এর নির্বাচনের পর তিনি দেশের নেতৃত্ব দিতেন এবং ১৯৬৭-তে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী হতেন। সুভাষের জন্ম ১৮৯৭-তে, ১৯৬৭ সালে তাঁর বয়স হতো ৭০ বছর।

দ্বিতীয় বাঙালি শিকার হয়েছিলেন কমিউনিস্ট অন্তর্ঘাতের। এটা এক অবিশ্বাস্য পরিহাস; কেননা জ্যোতিবসু ছিলেন তাঁর দল সিপিআই-এম অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্কসিস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে যখন সংসদ ঝুলন্ত, তত দিনে তিনি সারা ভারতে সুপরিচিত। কেন্দ্রে একটি অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের জন্য জোট গড়া হয়ে গেছে। জোটের দলগুলো কোনোরকম শোরগোল ছাড়াই নিজেদের সমস্যাগুলো মিটিয়ে নিয়ে জ্যোতিবসুকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ভাবছিল। একটি পত্রিকার শিরোনাম ছিল- ‘দিল্লির আকাশে একটি লালতারকা উঠেছে।’ জোটের শরিক দলগুলো জ্যোতির দলের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু সিপিআই-এম পলিটব্যুরো মারাত্মক ভুল করে বসল। তারা কেন্দ্রীয় সরকারে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এভাবেই তারা জ্যোতিবসুর প্রথম কমিউনিস্ট ও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হওয়া রুখে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী হলে জ্যোতিবসু হয়তো প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রীই হতেন। একবার তিনি তাঁর বার্ষিক অবকাশ উদযাপনের জন্য ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজে কলকাতা থেকে লন্ডন যাচ্ছিলেন। প্রগলভ এক সহযাত্রী বললেন, ‘এই কমিউনিস্টটা ফার্স্ট ক্লাস কেবিনে কেন!’ জ্যোতিবসু বলেন, ‘আমি যে ফার্স্ট ক্লাস কমিউনিস্ট।’ জ্যোতিবসু হলেন একমাত্র কমিউনিস্ট যিনি কলকাতার যে রাস্তায় মার্কিন কনস্যুলেট, সেই রাস্তাটির নাম বদলে ‘হো চি মিন স্ট্রিট’ করার হিম্মত দেখাতে পেরেছিলেন। কাজটা করার পর পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য তিনি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন।

পরে, এই লেখকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জ্যোতিবসু স্বীকার করেন যে, ওই সিদ্ধান্তটা ছিল ‘ঐতিহাসিক ভুল’। তিনি খাঁটি কথাটাই বলেছেন। ভারতীয় কমিউনিজম তার ভ্রান্তিমুক্ত হতে পারল না। তাঁর উত্তরসূরিরা ‘বাংলার কমিউনিস্ট দুর্গ’টিই শুধু হারায়নি, নিচে নামাতে নামাতে লাল আন্দোলনকে ‘পাত্তা দেওয়ার কোনো গরজ নেই’ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

প্রণব মুখার্জি ২০০৪ সালে বাংলা থেকে প্রথম কংগ্রেসীয় প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা, সংসদীয় দূরদর্শিতা বা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার যে কোনো মাপকাঠিতে তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সুখ্যাত এক ব্যক্তিত্ব। এক্ষেত্রে ড. মনমোহন সিংয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে তিনি। তবু সোনিয়া গান্ধী তাকে আস্থায় নিলেন না। তার সেকেন্ড চয়েস ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়; সেটাও তাকে দেওয়া হলো না। মৃদু আড়াল করা সেই বৈরিতা ফের দেখা যায় ২০১২ সালে, প্রণব মুখার্জি যখন হতে চাইলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এবার তিনি জীবনভর অর্জিত কৌশল আর ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে প্রয়োগ করলেন। এতে করে তলিয়ে গেল কংগ্রেসের যত চাতুরী। অর্থমন্ত্রী থাকাকালে প্রণব মুখার্জি পশ্চিমবঙ্গ এলেন কিছু কাজ করার প্রয়োজনে রাজনীতিকরা যা করে থাকেন আর কি। যেমন- রাস্তার নাম পাল্টে দেওয়ার অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া মহল্লার মুরব্বিদের সামনে ভাষণ দেওয়া। একবার তিনি হুগলি নদীর তীরে ভিক্টোরিয়া জুট মিলের বাইরে তেলিয়াপাড়া নামে এক লোকালয়ে এলেন। তেলিয়াপাড়া কর্মজীবী মানুষদের ছোট্ট একটি বসতি। এখানকারই এক গলিতে আমার বেড়ে ওঠা। গলির নাম ‘স্যার আলেকজান্ডার মারে লেন।’ কলকাতা থেকে দুই ঘণ্টার পথ- ট্রাফিক জট আর খানাখন্দে ভরা পথ- পাড়ি দিয়ে তিনি আসেন। এসে আমার বাবার স্মরণে লেনটির নতুন নামকরণ করলেন। কাজটির বিনিময়ে কোনো রাজনৈতিক পুরস্কার প্রাপ্তির ব্যাপার ছিল না। এটা ছিল তাঁর ব্যক্তিগত ও স্বভাবসুলভ উদারতা। তিনি এসে পৌঁছলে গলির যুবকরা অর্ধ-আমোদিত আর অর্ধ-বিহ্বল হয়ে পড়ে। আমরা যখন দুপুরের খানা খাচ্ছি, হঠাৎ দেখলাম ওরা আমাদের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে আওয়াজ তুলছে ‘প্রণব মুখার্জি জিন্দাবাদ!’ তিনি যখন দিল্লি যাওয়ার জন্য কলকাতায় ফিরে যাচ্ছিলেন তখনো তারা হর্ষধ্বনি দেয়।

তার সঙ্গে শেষবারের মতো আমার একান্ত কথাবার্তা হয় গত বছর ডিসেম্বরে। নিজের স্বাস্থ্য বিষয়ে কথা বলার সময় কেমন একটা অনিশ্চয়তার ছায়াপাত ঘটেছিল চেহারায়। তবু তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ খোলামেলা আর বেশ দৃঢ়। কোনো দলের সঙ্গে তার কায়েমি স্বার্থ ছিল না, তীক্ষè ভাষায় বস্তুনিষ্ঠ অভিমত দেন তিনি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সর্বশেষ আমাদের দেখা। দিল্লিতে তাঁর বাসভবনের উঠোনে আমার বই “গান্ধী’জ হিন্দুইজম : দ্য স্ট্রাগল এগেইনস্ট জিন্নাহ’জ ইসলাম”-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়েছিল। তাঁর শরীরটা আরও ভেঙে পড়েছে। তবু তাঁর বক্তৃতায় আগের মতোই সব রকম তেজস্বিতা আর বুদ্ধির তীক্ষèতা, মাঝে-মধ্যে তাঁর সেই ট্রেডমার্ক- লিখিত ভাষণের বাইরে গিয়ে মন্তব্য করা বা স্মৃতির রুপালি ভাঁজ থেকে টেনে এনে কিছু বলার সময় নিঃশব্দে হেসে ওঠা। এটা ছিল আমার জন্য এবং সেদিন যারা তাঁর বক্তৃতা শুনতে এসেছিলেন তাদের জন্য অবিস্মরণীয় এক সুযোগ ও সম্মান। এরপর ফেব্রুয়ারিতে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে নেমে আসে অন্ধকার; মার্চের মধ্যেই মহামারীর ঘায়ে আমরা হয়ে পড়লাম নিঃসঙ্গতার হাতে বন্দী।

সমস্যাবলি নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের আলোচনায় এসে পড়ত পশ্চিমবঙ্গ প্রসঙ্গ। প্রণবদা ছিলেন প্রতিনিধিমূলক বাঙালি : আন্তরিক জ্ঞানসমৃদ্ধ, সংশ্লিষ্ট আর নিখাঁদ ভদ্রলোক। তিনি অন্য যে কোনো ব্যক্তির চেয়ে বাংলাকে বেশি জানতেন। কিন্তু তাঁর প্রকৃত আবেগ ছিল জাতীয় রাজনীতি ঘিরে, যে রাজনীতি রপ্ত করেছিলেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী প্রভাবিত অমূল্য তাত্ত্বিক বোধবুদ্ধির মাধ্যমে। ইন্দিরার জন্য নিবেদিত ছিলেন তিনি; ইন্দিরাও তাঁর উত্তরসূরিদের চেয়ে বেশিই জানতেন প্রণবের যোগ্যতা-সক্ষমতাকে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর ইন্দিরার অত্যন্ত কঠিন সময়েও তাঁর প্রতি প্রণবের আনুগত্যে চিড় ধরেনি। কুখ্যাত জরুরি অবস্থার সময় ঘটে যাওয়া বহুরকম বাড়াবাড়ির ঘটনা তদন্তে গঠিত শাহ কমিশনের শুনানি বয়কট করেছেন মাত্র দুজন : ইন্দিরা ও প্রণব। কাজটা প্রণব রাজনৈতিক বোলচাল দিয়ে করেননি; করেছেন আইনের সূক্ষ্ম যুক্তিজাল দিয়ে। ১৯৭৭-এর নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই ইন্দিরা গান্ধী আঁচ করেন যে পরাজয় আসন্ন। প্রণবকে তিনি তা বলেছিলেনও। ইন্দিরার সহকর্মীরা অবশ্য আশাবাদী ছিলেন আর তাঁর বিরুদ্ধবাদীরা তো বিশ্বাসই করতেন না যে তারা ভোটে জিততে পারবেন। প্রণব মুখার্জি সব সময় আস্থাবান ছিলেন যে ইন্দিরার পুনরুত্থান হবেই। কারণ তিনি জানতেন যে, ইন্দিরার প্রাথমিক শক্তি হচ্ছে মূলের সঙ্গে সংযোগ। জনতার চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি তাঁর রাজনৈতিক অভিযাত্রা রচনা করতেন।

জনতার প্রতি মনঃসংযোগ ঘনীভূত করা বাদ দিয়ে শুধু অনুমিত ভোটপ্রাপ্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে কংগ্রেস প্রথমে অবিরাম এবং তারপর দ্রুতগতিতে নেমে যেতে থাকল। প্রণব মুখার্জি জানতেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতি হচ্ছে বীজগণিত- যেখানে ভোটব্যাংকের আমানত দিয়ে নয়, গভর্ন্যান্স দিয়ে নির্বাচনীয় সমীকরণের বিভিন্ন অংশকে সুসংবদ্ধ করা হয়। যদি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতেন, এ বিষয়টা সব সময়ই তাঁর মাথায় রাখতেন।

                লেখক : সাংবাদিক ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর