সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দুঃখজনক

যে কোনো নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গড়ে ওঠে তার অধীন ভূমি বণ্টন, অবকাঠামোসহ পরিকল্পিত নগর প্রতিষ্ঠার জন্য। এর মাধ্যমে আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়। টেকসই, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসনেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়। দেশে নতুন বিভাগ হয়েছে অথচ পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ফাইল আটকে আছে লাল ফিতায়। বিভাগীয় শহরের আওতাধীন অনেক স্থানেই আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পটসহ নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার অবকাঠামো গড়ে তোলার অনুকূল অবস্থা রয়েছে। রংপুর বিভাগ হয়েছে ২০১০ সালে। সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের আট বছরও পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন হয়নি। ছয় বছর আগে মন্ত্রিপরিষদ রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের অনুমোদন দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছে সে ফাইল। ফলে রংপুর নগরীকে ঘিরে কোনো মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালের ৮ জুন রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে নতুন করে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের অনুমোদন দেয় প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটি। সে সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের আলোকে টেকনিক্যাল কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রস্তাবিত রংপুরসহ তিনটি কর্তৃপক্ষের আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়। ইতিমধ্যে রংপুর জেলা শহর ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশ-সংকটপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প বাস্তবায়ন, অপরিকল্পিতভাবে হোটেল, মোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ এ সমস্যার মূল কারণ। ভবনের নকশা অনুমোদনসহ অন্যান্য ছাড়পত্র প্রদানে সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল এলাকার ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে যুক্তিসংগতভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। পরিকল্পিত নগরী গড়তে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো বিকল্প নেই।  তাই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর