বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা বাড়ছে

নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার বন্ধ হোক

বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৪টি এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে হতাহতের ঘটনাও। নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার, মাল্টি প্লাগ ও এসি ব্যবহারে প্রায়ই ঘটছে বিপর্যয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট অগ্নিদুর্ঘটনার শতকরা ৩৯ শতাংশই ঘটছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে। দগ্ধ হয়ে প্রাণহানির প্রায় অর্ধেক ঘটছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায়। গত পাঁচ বছরে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এ ধরনের দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় শুধু করুণ মৃত্যুই নয়, অঘটনের শিকারের একাংশের অঙ্গহানিও ঘটছে। ক্ষতি হচ্ছে বিপুল অর্থসম্পদের। গত বছর বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে মোট ৮ হাজার ৬৪৪টি অগ্নিকান্ড ঘটে, যা ছিল সে বছর মোট অগ্নিকান্ডের ৩৯ শতাংশ। এতে ক্ষতি হয় ২৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮১৬ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য ধরনের মোট ১৩৩টি দুর্ঘটনায় ক্ষতি হয় ৬৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী আগুন লাগার ঘটনাগুলো সাধারণত অফিস, মার্কেট, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেই বেশি ঘটে। আর বাসাবাড়ি ও কর্মস্থলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসাবধানতাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। দেশের মোট অগ্নিকান্ডের এক বড় অংশের সঙ্গে বিদ্যুতের সম্পর্ক নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। আজকের যুগে বিদ্যুৎ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। বিদ্যুৎ অন্ধকার ঘোচায়। তাপমাত্রা সহনীয় হয়ে ওঠে ফ্যান অথবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে। উৎপাদনব্যবস্থার অপরিহার্য অনুষঙ্গ বিদ্যুৎ। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বিদ্যুতের ব্যবহার ওতপ্রোত জড়িত। গত এক যুগে বিদ্যুতের ব্যবহার আগের ১০০ বছরের চেয়েও অন্তত ৪০০ ভাগ বেড়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সারা দেশে প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু নিম্নমানের তার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার একই সঙ্গে মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ ঝুঁকির অবসানে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার ও সরঞ্জামের উৎপাদন

এবং আমদানির বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। বাড়াতে হবে নজরদারি।

সর্বশেষ খবর