শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ

প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠোর হতে হবে

দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় আরও একধাপ অগ্রগতি ঘটিয়ে আগামী বছরের জুনে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের তেঘরিয়া থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশ যানবাহন চলার জন্য খুলে দেওয়া হবে। ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথের আড়াই কিলোমিটারই উড়াল বা এলিভেটেড। উড়ালপথের প্রায় শতভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সমতলভূমির বাকি পথের নির্মাণকাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলার জন্য খুলে দেওয়া হলে রাজধানীর দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে উঠবে। মার্চে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মূল অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ফেজের এলিভেটেড অংশের সড়কের পাশে রেলিং বসানো ও লেন বিভাজনে রঙের কাজ চলছে। বসানো হচ্ছে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং তাতে টানা হচ্ছে বৈদ্যুতিক তার। এক্সপ্রেসওয়ের এ অংশ চালু হলে ঢাকার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে। বাবুবাজার থেকে মাওয়া যেতে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। বর্তমানে ৩ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশের নিচেও দুই পাশের প্রশস্ত রাস্তার কাজ অবিরাম চলছে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় অংশ কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়ায় সংযোগ সৃষ্টি করে বাবুবাজার ব্রিজে গিয়ে মিলেছে। রাজউকের আবাসিক প্রকল্প ঝিলমিলের মাঝবরাবর নির্মিত এলিভেটেড অংশ শুভাঢ্যা খালে এসে শেষ হয়েছে। স্মর্তব্য, গত মার্চে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ যানবাহন চলার জন্য খুলে দেওয়ার মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। অপ্রত্যাশিত কোনো বিঘœ না হলে জুনেই এক্সপ্রেসওয়ের সম্পূর্ণ অংশটি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে রাজধানী থেকে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে। বর্তমান সরকার আমলে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার আধুনিকায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যা প্রশংসার দাবিদার। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও সরকারি অর্থের অপচয় নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিচ্যুতি অবস্থার অবসানে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের দায়বদ্ধতার অধীনে আনতে হবে। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে দায়ী কর্মকর্তাদের হাত থেকে প্রশাসনকে রেহাই দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর