রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জীবনের সত্যটা আঘাত খেতে খেতে দেয়ালে ঠেকেছে

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

জীবনের সত্যটা আঘাত খেতে খেতে দেয়ালে ঠেকেছে

সবকিছুই যেন এলোমেলো ভাবনা। কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই তার পরও যেন কোথায় একটা মিল। অমিল। এক রকম ভাবতে গিয়ে আরেক রকম ভাবনার সেতুবন্ধ। মানুষকে কেমন হতে হবে, কী করা উচিত আর সত্য-মিথ্যা, পাপ-পুণ্য সব যেন মিলেমিশে একাকার। তবু ভারসাম্যহীন সমীকরণটা মেলাতে হবে। কোনো একটা জায়গায় হয়তো বা। পৃথিবীতে বড় হতে হলে ছোট হতে হয়। বিনীত হতে হয়। বিনম্র হতে হয়। মাথাটুকু নামিয়ে নিজের আমিত্ব পরিহার করতে হয়। অহংকার, হিংসা, ক্ষোভ সব ত্যাগ করতে হয়। বড় হতে ত্যাগ শিকার করতে হয়। আঘাতের পর আঘাত পেতে হয়। পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিতে হয়। মানুষের অপমান, অবহেলা ও অবজ্ঞায়ও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বড় হতে হলে হারতে হয়। জীবনের গ্লানিকে শিকার করার মতো সাহস থাকতে হয়। পরাজয় থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটার পর একটা আমৃত্যু লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। রোদের কঠিন উত্তাপে পুড়ে খাঁটি সোনা হতে হয়। আগুনের তাপে দগ্ধ হতে হয়। মানুষের নির্মম আর কঠিন মুখগুলো দেখতে হয়। স্বার্থপর পৃথিবীকে চিনতে হয়। থামতে হয়। নিঃশব্দ, নীরব হতে হয়। কষ্ট পেতে হয়। কাঁদতে হয়। বোবা আবেগের টানে পাথর হতে হয়। একদিন চোখের পলকে জনাকীর্ণ জনপদ থেকে একা হয়ে যেতে হয়। নিঃসঙ্গ, একাকিত্বের বোঝা টানতে হয়। এমন একটা সময় অতিক্রম করতে হয় যখন সারা পৃথিবী একদিকে থাকে আর একজন মানুষ আরেকদিকে থাকে। এ ধরনের প্রতিকূল সময় প্রত্যেক মানুষের জীবনে বারবার আসতে পারে। বিশেষ করে ভালো, উদার ও সাদা মনের মানুষের জীবনে এমন বৈরী অবস্থা বারবার তৈরি হতে পারে। জীবনের ঘানি টানতে টানতে ভাগ্যের চাকা একসময় মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। উইলিয়াম শেকসপিয়ার তাঁর কতগুলো নাটকে এ ভাগ্যের চাকা শব্দটি কয়েকবার ব্যবহার করেছেন। যেমন- হে ভাগ্য, শুভরাত্রি, আরেকবার মিষ্টি হেসে তোমার চাকাটা ঘোরাও! দম বন্ধ হওয়া দুঃসময়েও ভাগ্যের চাকাটা নিজের চেষ্টায় ঘুরবে কি? হয়তো ঘুরবে না, তবু ঘোরাতে যে হবেই। তা না হলে ধীরে ধীরে পৃথিবীর আধিপত্য মন্দদের দখলে চলে যাবে। তখন কপাল চাপড়ানো ছাড়া কিছুই থাকবে না। সবাই ভাবছেন কীসব প্রাচীনমনা নীতিকথা বলছেন। এসব কি আর এ যুগে চলে? যা হওয়ার নয় তা ভেবে লাভ কী? তার পরও তো কাউকে না কাউকে জীবনের কথা ভাবতে হবে। মূল্যবোধের চেতনা উৎসারিত করতে হবে। আলোকিত দিনের সন্ধান করতে হবে। যেমন সক্রেটিস বেঁচে থাকতে সত্যের সন্ধান করতেন। মানুষকে শেখাতেন। মানুষের কাছ থেকে শিখতেন। যেখানে দাঁড়াতেন সেখানেই যুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে মানুষ তাকে ঘিরে ফেলত। যেখানেই গেছেন সেখানেই আগামী পৃথিবীকে নিজের চিন্তাশক্তি দিয়ে দেখেছেন। তবু কঠিন সত্য প্রচার থেকে নিজেকে পিছিয়ে নেননি। সত্য প্রচারের কারণে তাঁকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। অকৃতজ্ঞ পৃথিবী তাঁর হাতে সম্মানসূচক স্বীকৃতিপত্র তুলে দেয়নি, বরং পেয়ালাভর্তি হেমলক বিষ তুলে দিয়েছিল। বিষপানের পর সক্রেটিসকে হাঁটতে আদেশ করা হয় যতক্ষণ না তাঁর পদযুগল ভারী মনে হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর যে লোকটি সক্রেটিসের হাতে বিষ তুলে দিয়েছিল সে তাঁর পায়ের পাতায় চিমটি কাটে। সক্রেটিস সে চিমটি অনুভব করতে পারেননি। তাঁর দেহ বেয়ে অবশতা নেমে আসে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। সারা পৃথিবীকে সত্য দিয়ে এগিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে গেছেন। একজন মানুষও তাঁর মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়নি এবং তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়নি। এটাই নির্মম সত্য, কঠিন, খুব কঠিন বাষ্পরুদ্ধ জীবনের আয়নার পেছনের টুকরো টুকরো ভাঙা কাচের আয়নার মতো। মানুষ কেবল নিজেরটাই বোঝে। একজন মানুষের সবটুকু কেড়ে নিয়ে নিজেকে নায়ক বানাতে চায়। সক্রেটিস জানতেন তাঁর মৃত্যুতে তিনি কিছুই হারাননি। বরং মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছেন। স্বার্থবাজ পৃথিবী আর নিষ্ঠুর মানুষ সব হারিয়েছে। আরও অনেক কিছু তাঁর কাছ থেকে পাওয়ার কথা ছিল তা পাওয়ার মতো যোগ্যতা তখনকার মানুষ দেখাতে পারেনি। সময় বদলেছে, ঘড়ির কাঁটা যান্ত্রিকতার ভারে নুয়ে পড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেয়েছে। কিন্তু তখন যেমন মানুষ ছিল এখনও তেমন মানুষ আছে। দেহের গড়ন ও বেশভূষায় পরিবর্তন এলেও স্বার্থপর মনে পরিবর্তন ঘটেনি। খুব বিস্মিত হতে হয়, যখন সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ডের ২৪১৫ বছর পরে গ্রিসের একটি আদালত জানাল, সক্রেটিস নির্দোষ ছিলেন। খুব হাস্যকর জীবনের পরিহাস। যেন আয়নাবাজির মতো। আয়নাবাজি সিনেমার কথাটা আনতে না চাইলেও প্রাসঙ্গিকভাবেই বিষয়টি চলে আসে। যেখানে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবর্তে সিনেমার নায়ক আয়না ভাড়ায় দিনের পর দিন জেল খাটে। অপরাধী না হয়েও সে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য অপরাধীর রূপ ধরে অপরাধী সাজে আর অপরাধীদের অপরাধের মুখোশটা ঢেকে রেখে তাদের মহান বানায়। এ আয়নাকে কি নায়ক বলা যায়? নাকি খলনায়ক সে। কারণ নিজেকে বাঁচাতে সে অপরাধীদের আড়াল করেছে। একটা অপরাধী যে একটা দেশ, জনপদ ও পৃথিবীকে খেয়ে ফেলতে পারে আয়নার নিজের খালি পেটের হাহাকার স্বার্থ তার চেয়ে কি বড় হতে পারে? কে জানে এর উত্তরটা কী। সবাই কি তবে রঙ্গমঞ্চে নায়ক সেজে ভিলেন শব্দটাকে বিসর্জন দিতে চাইছে? হয়তো ইতিহাস আর সময় তাদের এক একটি প্রাচীর ভেঙে না দেখা রহস্য একদিন উন্মোচন করবে। সময় যখন চলমান থাকে নায়ককে তখন আয়নাবাজির ভিলেন বানানো হয়। ভিলেনরা শক্তির জোরে নায়ক থেকে মহানায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু সময় আর প্রকৃতি এ পাপ ও অসত্যকে সহ্য করতে করতে একসময় বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। চিৎকার করে যেন বলতে থাকে তোমাদের এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। কখনো অমানুষদের ছাড় দেয় না। যেমন ছাড় দেয়নি ইতিহাসের খলনায়কদের। তবু তো মানুষ আমরা, হাড়-মাংস-রক্তে গড়া মানুষ। আমরা যেভাবে ভাবী তা হয়তো সত্য নয়। বরং যা আমরা কখনো ভেবে দেখি না তা-ই হয়তো সত্য। সত্য ও মিথ্যার মাঝখানে দাঁড়িয়ে সারা জীবন আমরা নিজেদের খুঁজে বেড়াই। কিন্তু খোঁজ কি মেলে? জর্জ বার্নার্ড শকে নিয়ে লেখা একটি বিখ্যাত চিঠির বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।

বিখ্যাত নর্তকী ইসাডোনা ডানকান একবার জর্জ বার্নার্ড শকে লিখলেন, ‘ভাবুন তো, আপনি আর আমি যদি একটা শিশুর জন্ম দিই, ব্যাপারটা কি চমৎকারই না হবে! সে পাবে আমার রূপ, আর আপনার মতো মেধা।’ বার্নার্ড শ জবাবে লিখলেন, ‘যদি আমার রূপ আর আপনার মতো মেধা পায়, তবে...?’ এই তবের জায়গায় এসেই থামতে হয়। সব সময় সহজ অঙ্ক দিয়ে সমীকরণ মেলানো যায় না। যেমন মেলেনি কীভাবে একজন সত্যবান মানুষের সন্তান দুর্নীতিবাজ হয়, কীভাবে নিষ্পাপ বাবা-মায়ের সন্তান সন্ত্রাসী হয়। এভাবে মেধা পাচার, টাকা পাচার, মানুষ পাচার, সমাজ ও মানুষের পচন কোনো কিছু দিয়েই কোনো কিছুকে মেলানো যাচ্ছে না। একটা অন্তর্নিহিত প্রশ্ন জাগতে পারে। অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া একটা মানুষ কি অবৈধ হয়? নাকি বৈধভাবে জন্ম নেওয়া কেউ কেউ অবৈধ হয়? জটিল মনস্তত্ত্ব, কিছুটা বিব্রতকর। কিছুটা প্রশ্নাতীত। একটা গান বারবার কানে ভেসে আসছে ‘বল তার কি অপরাধ, জন্ম হয়েছে যার পাঁকে, তোমার ক্ষমা দিয়ে তুমি, ফোটাও পদ্ম করে তাকে, ভুল পথে গেলে তুমি এসে হাত ধর প্রভু।’ এখানে জন্মের বিষয়টি মুখ্য নয়, মানুষ বেড়ে ওঠে তার মূল্যবোধ, সততা ও বিশ্বাসে। মানুষ যখন পাপে নিমজ্জিত হয় তখন সে বুঝে উঠতে পারে না সে পাপ করছে। কিন্তু পাপ মানুষকে গভীর থেকে গভীরতর পাপের দিকে নিয়ে যায়। একসময় পাপ করতে করতে মানুষ নিজেকে ভুলে যায়। পাপের কলঙ্ক কোথায় গিয়ে ঠেকেছে হয়তো তা কেউ জানে না। কিংবা জেনেও না জানার ভান করে।

একটা সংগৃহীত গল্প মনে পড়ল। গল্প বলব কিনা জানি না। হয়তো এটাই বাস্তবতা। গল্পটা এমন : একদিন এক ছেলের বাবা হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। তখন ছেলেটি স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সদ্য স্বামী হারানো মাকে একটি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার সিদ্ধান্ত নিল। যাতে ছেলে ও পুত্রবধূ অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এবং তাদের সন্তান স্কুলে চলে যাওয়ার পর বৃদ্ধ মা একাকিত্বে না ভোগেন। আসলে এটি ছিল একটি অজুহাত মাত্র। সেদিন রাতের বেলা ছেলে নিজের সিদ্ধান্তের কথা মাকে বলা মাত্রই তিনি রাজি হয়ে গেলেন। মায়ের এমন এক কথায় রাজি হওয়ার বিষয়টি ছেলেকে একটু অবাকই করল। এক সপ্তাহের ভিতরেই গাড়ি এলো, তাতে তোলা হলো মায়ের সমস্ত জিনিস। যাওয়ার সময় একটুও কাঁদলেন না তিনি। ছেলে প্রতিশ্রুতি দিল, আমি প্রতি সপ্তাহে একবার করে যাব তোমার কাছে। প্রথম প্রথম সত্যিই প্রতি সপ্তাহে একবার করে যেত ছেলে মাকে দেখতে। তারপর বেড়ে গেল ছেলের ব্যস্ততা। ধীরে ধীরে মাসেও একবার যাওয়ার সময় হলো না তার। এভাবেই কেটে গেল বছর দুয়েক। হঠাৎ একদিন রাতের বেলা বৃদ্ধাশ্রম থেকে ফোন এলো। ছেলেকে জানানো হলো তার মা ভীষণ অসুস্থ। ডাক্তার বলেছেন উনি আর হয়তো বড়জোর ২৪ ঘণ্টা বাঁচবেন। তার মা মৃত্যুর আগে তাকে দেখতে চাইছেন। ফোন পাওয়া মাত্র ছেলে বৃদ্ধাশ্রমে ছুটল। সেখানে গিয়ে মৃত্যুশয্যায় শায়িত মাকে দেখে ছেলে চুপ করে গিয়ে মায়ের শয্যার পাশে বসল আর বলল কিছু বলবে। তখন মা কাঁপা কাঁপা গলায় একটু থেমে থেমে বলল এই ঘরে একটাও এসি নেই। ফ্যানটাও যেভাবে ঘোরে ভীষণ গরম লাগে আমার। তোশকটাও একটু নরম দেখে আনিস। আর হ্যাঁ! একটা ফ্রিজের বন্দোবস্ত কর বাবা। গরমকালে সব পানি গরম হয়ে যায় এখানে। খাবার-দাবারও নষ্ট হয়ে যায়। আর পারলে একটা মোটা দেখে লেপ বা কম্বলের ব্যবস্থা করিস। এখানে ঠান্ডায় ভীষণ কষ্ট হয়রে। আর একটা ছোট রেডিও ও টিভি থাকলে ভালো হয়। অনেকটা সময় কেটে যাবে খবর শুনে, সিনেমা দেখে। মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের মুখ থেকে এত জিনিস নিয়ে আসার অনুরোধ শুনে ভারি অবাক হয়ে গেল ছেলে। তাই সে বিস্ময়ে মাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার এতটা শরীর খারাপ ডাক্তারও হাল ছেড়ে দিয়েছেন, এত দিন কিছু না বলে আজ এ অসুস্থ অবস্থায় তুমি হঠাৎ এসব জিনিসের আবদার করছ কেন? এসব জিনিস কী কাজে লাগবে তোমার? ছেলের কথা শুনে মা অসুস্থ অবস্থায়ও মৃদু হেসে বললেন, দূর বোকা! আমি আমার জন্য এসব চেয়েছি নাকি? এগুলো তো সব তোর জন্য। আমি না হয় গরমের মধ্যে ঘামতে ঘামতে শুয়েছি, শক্ত বিছানায় রাতের পর রাত শুয়েছি। খাবার পচা হওয়ায় পেট ভর্তি গরম জল খেয়েই রাত কাটিয়েছি, ঠান্ডায় কেঁপেছি, একা একা থাকতে থাকতে হাউমাউ করে কেঁদেছি, কিন্তু তুই তো এসব সহ্য করতে পারবি না। আমি তোর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এগুলো জোগাড় করে রাখতে বললাম। কারণ তোর যখন বয়স হবে তোর ছেলেমেয়েও তো তোকে এখানে পাঠাবে। আমি চাই তখন তুই ভালোভাবে থাকিস। কথাগুলো বলতে বলতে চোখ বন্ধ হয়ে গেল বৃদ্ধার। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল ছেলে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। মা তাঁর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।

বাবা-মা যখন যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, সব সময় সন্তানের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন। আসুন, বৃদ্ধ বয়সে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে অবহেলা না করে তাঁদের যত্ন নিই আর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করে দিই তাঁদের হৃদয়। সন্তানদের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করেন না এঁরা। এবার এই গল্পটা থেকে ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, পাপ-পুণ্য এলোমেলো ভাবনাগুলো মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। সবই হয়তো এর মধ্যে আছে। আবার নেই। কিন্তু বিষয়গুলো কতটা আমরা বুঝব বা বুঝব না তা আমাদের আমজনতার ওপর নির্ভর করে। কারণ আমরা যা বলি তা করি না। যা দেখি তা বিশ্বাস করি না। আবেগ আর আবেগ নিয়ে সারা জীবনটা কাটিয়ে যখন নিজের কৃতকর্মের ফল নিজের গায়ে এসে আঘাত হানে তখন বিড়ম্বিত জীবন থেকে পালানোর পথ খুঁজি। তার পরও আলো তো দেখতে হবে। ফুল তো ফোটাতে হবে। সারা পৃথিবীর পাপীদের দিকে তাকিয়ে একটাই প্রার্থনা- প্রভু! ওদের ক্ষমা করে দাও; ওরা জানে না ওরা কী করছে।

লেখক : শিক্ষক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

সর্বশেষ খবর