মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কাঁকড়া রপ্তানি

প্রতিবন্ধকতা দূর করুন

দশ পায়ের কাঁকড়া- রপ্তানির সম্ভাবনাময় এক পণ্য। দেশে ১৫ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক কাঁকড়া ১১ প্রজাতির। তবে রপ্তানি হয় মূলত শিলা ও সাঁতারু কাঁকড়া। বর্তমানে শুধু শিলা কাঁকড়াই রপ্তানি হচ্ছে। জীবন্ত ও হিমায়িত- দুই ভাবেই শিলা কাঁকড়া রপ্তানি হয়। দেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে সুন্দরবন অঞ্চল থেকে প্রচুর কাঁকড়া ধরা হয়। আহরিত এ কাঁকড়ার একটি বড় অংশেরই গন্তব্য চীন। প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার কাঁকড়া রপ্তানি হয়। বাংলাদেশি কাঁকড়ার চাহিদা বিশ্ববাজারে ক্রমেই বাড়ছে। ফলে প্রতি বছর এর রপ্তানিও বাড়ছে। চাষিদের দিক থেকেও এটি লাভজনক। সে কারণে এখন অনেকেই খামারে কাঁকড়া চাষে এগিয়ে আসছেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের কাঁকড়া রপ্তানিতে বিপর্যয় নেমেছে। চীনে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় বাজারগুলোয় ভয়াবহ দরপতন হয়েছে। এতে লোকসানে পড়েছেন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের প্রায় ২৫ হাজার খামারি। চীনে কাঁকড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে ঘেরের বর্ণনা, পানি, তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাষির তথ্য, কাঁকড়ার মান যাচাই, স্বাস্থ্য সনদসহ বেশ কয়েকটি নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। জটিল এ শর্ত মেনে কাঁকড়া রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়েছে। বড় আকারের কাঁকড়া (প্রতিটি ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম) চলতি বছরের শুরুতেও কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে ক্রেতা সংকটে বর্তমানে তা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদিত কাঁকড়া বিক্রি করতে না পেরে চাষিরা নিঃস্ব হচ্ছেন। স্বাভাবিক সময় প্রতিদিন গড়ে ২৫ টন কাঁকড়া রপ্তানিকারকদের কাছে এখান থেকে পাঠানো হতো। ২০১৯-২০ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে ১২৮.৫২ মেট্রিক টন। করোনার কারণে জানুয়ারি-মার্চে রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৯৬ মেট্রিক টন। রপ্তানিকারকরা এসব শর্ত নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা শর্ত পূরণ করতেও রাজি আছেন। কাঁকড়া রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর