বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সীমান্তে অপতৎপরতা

মিয়ানমারের সুমতি ফিরুক

সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেছে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর লেখা চিঠিতে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক করা থেকে মিয়ানমারকে বিরত রাখতে এবং অভিযানের নামে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, মিয়ানমারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, যে কোনো সামরিক বা নিরাপত্তা অভিযান চলাকালে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তাদেরই দায়িত্ব। বিষয়গুলো নিরাপত্তা পরিষদ যেন জরুরি ভিত্তিতে সব সদস্যের নজরে আনে, সে বিষয়ে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের কয়েকটি ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে মংদাওর উত্তরের কয়েকটি স্থানে প্রায় ১ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। ১০ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ইনদিন গ্রামের উপকূলে যায় এবং সেনারা সেখানে নামে। পরে তাদের মাছ ধরার ২০টি নৌকায় নাফ নদ বরাবর নিগার খুইয়া গ্রামে নেওয়া হয়। সীমান্তে যে কোনো ধরনের তৎপরতা সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশকে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। মিয়ানমার বাংলাদেশকে অবহিত না করে সৈন্য মোতায়েন ও বেসরকারি নৌকায় করে সৈন্য পারাপারে ভুল বোঝাবুঝির শঙ্কা সৃষ্টি করছে; যা প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাতে পারে। এর ফলে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, গত জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে প্রায় ৩৫টির মতো গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে চিঠিতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বাংলাদেশের আগ্রহের প্রকাশ ঘটেছে। আমাদের বিশ্বাস, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্বার্থে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে সুবুদ্ধি ও সুমতির পরিচয় দেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর